রাজনীতি-বিএনপি কোনোটিতেই নেই মনির খান
জনপ্রিয় কণ্ঠ শিল্পী মনির খান বলেছেন, রাজনীতির মাঠ থেকে নিজেকে গুটিয়ে নিয়ে আবার সংগীত চর্চা শুরু করব। মাঝখানে যে কটা দিন, যে কটা বছর রাজনীতির সঙ্গে সংযুক্ত হবার পর কেটে গেছে, এটি আমার জীবনের অ্যাক্সিডেন্ট ছিল। আমার ভুল ছিল। এই ভুলের জন্য আমি বাংলাদেশের সব মানুষের কাছে ক্ষমা প্রার্থী।
এ সময় মনির খান বলেন, আমি বাংলাদেশের একজন জাতীয় সংগীত শিল্পী। শহীদ জিয়ার আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার আহ্বানে সাড়া দিয়ে জিয়া সাংস্কৃতিক সংগঠনের (জিসাস) মহাসচিব হিসেবে দলে যোগদান করি। পরবর্তীতে আমার সাংগঠনিক কর্মকাণ্ডে অনুপ্রাণিত হয়ে জাসাসের সাধারণ সম্পাদক ও বিএনপির সহ সংস্কৃতি সম্পাদক নির্বাচন করা হয়।
সংগীত শ্ল্পিী মনির খান বলেন, সংগীত কর্মকাণ্ডের পাশাপাশি আমি দেশ ও দেশের মানুষের কল্যাণে কাজ করার প্রত্যয় ব্যক্ত করে বেগম খালেদা জিয়া আমার নির্বাচনী এলাকায় কাজ করার নির্দেশনা দেন। আমি সবসময় এলাকার সর্বস্তরের নেতাকর্মী ও জনসাধারণের পাশে থেকে জনগণকে ঐক্যবদ্ধ করেছি।
তিনি বলেন, আজ বিভিন্ন অজুহাতে আমার এলাকার জনগণকে এবং আমাকে জাতীয় নির্বাচন থেকে সরিয়ে দেয়া হল। এমন অবস্থায় আমার নির্বাচনী এলাকার জনগণের প্রাণের দাবির সঙ্গে একাকার হয়ে বিএনপির সব সাংগঠনিক পদ পদবী থেকে ইস্তফা দিলাম।
প্রসঙ্গত, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঝিনাইদহ-৩ (মহেশপুর- কোটচাঁদপুর) আসনে মনোনয়ন প্রত্যাশী ছিলেন মনির খান। প্রাথমিকভাবে দলের মনোনয়নের চিঠি পেয়ে জমাও দিয়েছিলেন।
আসনটিতে জামায়াতের ভোট বেশি হওয়ায় জামায়াতকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। ওই আসনটিতে ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করবেন ঝিনাইদহ জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি মতিয়ার রহমান।
একাদশ জাতীয় নির্বাচনে ২০ দলীয় জোটের অন্যতম শরীক জামায়াতকে ছাড় দেওয়া ২৫টি আসনের মধ্যে ঝিনাইদহ-৩ আসনটি রয়েছে। এ কারণে প্রার্থী হতে পারছেন না কন্ঠশিল্পী মনির খান।
এর আগে শুক্রবার সন্ধ্যায় গুলশানের বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে ঝিনাইদহের ৪টি আসনের মধ্যে বিএনপির ৩ জন প্রার্থীকে চূড়ান্ত ঘোষণা করে চিঠি দেওয়া হয়েছে। কিন্তু, ঝিনাইদহ-৩ আসনটিতে বিএনপির কাউকে চূড়ান্ত ঘোষণা করা হয়নি।
ঝিনাইদহ-৩ আসনে বিএনপি থেকে কন্ঠশিল্পী মনির খান, আমিরুজ্জামান খান শিমুল, মেহেদী হাসান রুমি ও মতিয়ার রহমানকে প্রাথমিক মনোনয়নপত্র দেওয়া হয়।
এদিকে মনির খানের সঙ্গে কথা বলেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। এ সময় তিনি সিদ্ধান্ত পরিবর্তনের অনুরোধ জানান। তবে মনির খান এখনও তার সিদ্ধান্তে অটল রয়েছে বলে জানা গেছে।