‘রাজনৈতিক কারণেই আবুকে হত্যা করা হয়েছে’
ঢাকায় মনোনয়ন কিনতে আসা যশোর জেলা বিএনপির সহসভাপতি আবু বকর আবুর লাশ বুড়িগঙ্গা নদী থেকে উদ্ধারের পর ৫ দিন কেটে গেলেও তার মৃত্যু রহস্য উদঘাটিত হয়নি। পুলিশ মনে করছে লঞ্চ থেকে পানিতে পড়েই আবুর মৃত্যু হতে পারে। তবে নিহতের পরিবারের অভিযোগ, আবু অপহরণ করা হয়েছিল। অপহরণকারীদের মুক্তিপণও দেওয়া হয়েছে।
নিহতের নিকটাত্মীয়দের দাবি রাজনৈতিক কারণেই আবুকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে।
যশোরের এই বিএনপি নেতাকে কারা অপহরণ করলো এবং কিভাবে তার মৃত্যু হলো তা নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। তার মৃত্যুর পেছনে মনোনয়ন-সংশ্লিষ্ট কোন্দল ছিল কিনা সে বিষয়টিও সামনে এসেছে।
ঢাকা জেলার পুলিশ সুপার শাহ মিজান শাফিউর রহমান পরিবর্তন ডটকমকে বলেন, বিএনপি নেতা আবু বকরের লাশ উদ্ধারের ঘটনায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে। সেই মামলার সূত্র ধরেই তার মৃত্যু রহস্য উদঘাটনের চেষ্টা চলছে।
তিনি বলেন, নিহতের শরীরে কেনো আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। যে কারণে প্রাথমিক ভাবে আমরা ধারণা করছি লঞ্চ থেকে পড়েই তার মৃত্যু হয়েছে। তারপরও সার্বিক বিষয় বিবেচনা করে আমরা আমাদের তদন্ত কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছি।
দক্ষিণ-কেরানীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শাহ জামান পরিবর্তন ডটকমকে জানান, গত সোমবার দুপুরে বুড়িগঙ্গার চর-খেজুরবাগ বেবী সাহেব ডগইয়ার্ড সংলগ্ন পানি থেকে বিএনপি নেতা আবুর লাশ উদ্ধার করা হয়।
তিনি বলেন, ময়নাতদন্ত শেষে লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়। ময়নাতদন্ত রিপোর্ট পেলে মৃত্যুর কারণ জানা যাবে।
‘রাজনীতির’ কারণেই ‘খুন’ হয়েছেন আবু?
নিহতের ভাই আবুল কাশেম ও বোন আঞ্জুমানারা বেগম সাংবাদিকদের বলেন, ভাই যদি সাধারণ কৃষক হতেন, তাহলে এভাবে খুন হতেন না। অপহরণকারীরা দুই দফায় আমাদের কাছ থেকে ১ লাখ ৭০ হাজার টাকা নিয়েছে। ভাইকে ছেড়ে দেবে বললেও তারা তাকে খুন করলো।
তারা বলেন, শুধুমাত্র রাজনীতি করার কারণেই আমাদের ভাইকে খুন করা হয়েছে; তা নিজ দল হোক বা অন্য কোনও দলের লোক হোক।
সূত্র: পরিবর্তন ডটকম