রাজশাহীকে গুঁড়িয়ে দিল ঢাকা

535

এবারের বিপিএলে সবচেয়ে শক্তিশালী দল কোনটি? এ প্রশ্নের উত্তরে একেক রকম উত্তর আসতে পারে। সবচেয়ে দুর্বল দল? এ প্রশ্নের উত্তর অনেকেই দেবেন না। যারা দিচ্ছেন, তাদের উত্তর অভিন্ন, রাজশাহী কিংস। বিপিএলে নিজেদের প্রথম ম্যাচে এমন সন্দেহবাদীদের ভুল প্রমাণ করতে পারেনি রাজশাহী। ঢাকা ডায়নামাইটসের সামনে রীতিমতো উড়ে গেছে তারা। ১৮৯ তাড়া করতে নেমে ১০৬ রানে অলআউট দলটি। ৮৩ রানের হার দিয়ে শুরু হলো ২০১৬ বিপিএলের রানার্সআপদের।

d6cd0790a4cfc61685adfba50a519756-5c30c5222dec7

দুই দলের পার্থক্য ১০ ওভারেই নির্ধারিত হয়ে গেছে। প্রথম ১০ ওভারে বিনা উইকেটে ১১৩ রান তুলেছিল ঢাকা। আর তাড়া করতে নামা রাজশাহী প্রথম ১০ ওভারে ওভারপ্রতি ৬ রান তুলতেই পারেনি। ৫৯ রান তুলতেই ৬ উইকেট হারিয়ে ফেলেছে দলটি। ১৯০ রানের লক্ষ্যে নামা রাজশাহীর ম্যাচে টিকে ছিল ২য় ওভার পর্যন্ত। মুমিনুল হক ও মোহাম্মদ হাফিজ ওই দুই ওভারে ২২ রান এনে দিয়েছিলেন। তৃতীয় ওভারে বল বুঝে নিলেন সাকিব আল হাসান। রাজশাহীও ম্যাচ থেকে ছিটকে পড়তে শুরু করল।

সাকিবের বলে মুমিনুল আউট হলেন দলীয় ২৪ রানে। ৩ বল ও ৫ রান ব্যবধানে সৌম্যও তাঁর পিছু নিলেন। সপ্তম থেকে দশম ওভারের মধ্যে রাজশাহী হারিয়েছে আরও ৪ উইকেট। এ আসা যাওয়ার মিছিলে ছিলেন সবাই। লরি ইভান্স, জাকির হাসান, মোহাম্মদ হাফিজ ও ইয়ঙ্কাররা একে একে বিদায় নিয়েছেন আর রাজশাহীর ইনিংসের কঙ্কাল বেরিয়ে এসেছে। কেউই পারেননি দলকে আস্থা দিতে। দলের রান ৮০ হতে হতেই ড্রেসিংরুমে আশ্রয় খুঁজে নিয়েছেন মিরাজ, আলাউদ্দীন বাবু ও কায়েস আহমেদ।

রাজশাহী যে শেষ পর্যন্ত এক শ পার করতে পেরেছে এর জন্য দলটি আরাফাত সানী ও মোস্তাফিজকে ধন্যবাদ দিতে পারে। শেষ উইকেটে এ দুজন ২৬ রান যোগ না করলে ঢাকার জয়ের ব্যবধানটা তিন অঙ্কেই থাকত। সানী ১৮ রান করে আউট হওয়াতে শেষ হয়েছে এই সান্ত্বনার জুটি। ১১ রানে অপরাজিত ছিলেন মোস্তাফিজ। দলের নবম, দশম ও একাদশ ব্যাটসম্যানই শুধু ছক্কা মেরেছে রাজশাহীর, এ তথ্যটাই বুঝিয়ে দিচ্ছে দলটার ব্যাটিংয়ের করুণ দশার কথা।

তিন ওভারে মাত্র ৭ রান দিয়ে ৩ উইকেট রুবেল হোসেনের। বাকি উইকেটগুলো ভাগাভাগি করে নিয়েছেন অন্য বোলাররা। শুধু সুনীল নারাইনই ভাগ পাননি উইকেটের।

Leave A Reply

Your email address will not be published.

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.