রাজশাহীতে অবৈধ জুয়ার আসর ও অশ্লীল নৃত্য: এমপি বাদশার নেতৃত্বে গণআন্দোলন ২৪ জানুয়ারি
বাদশা, রাজশাহীঃ
রাজশাহী নগরীর নওদাপাড়া বাস টার্মিনাল দখল করে মেলার নামে অবৈধ জুয়া ও অশ্লীল নৃত্য বন্ধে এবার ও ওয়াকার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক ও এমপি ফজলে হোসেন বাদশা’র নেতৃত্বে শুরু হচ্ছে গণআন্দোলন। ফজলে হোসেন বাদশা রাজশাহী-২ (সদর) আসনের এমপি গতকাল দুপুরে সাংবাদিকদের বলেন, আগামী ২৪ জানুয়ারী সকাল ১১টায় নগরীর সাহেব বাজার জিরোপয়েন্টে গণমানব বন্ধন অনুষ্ঠিত হবে।
মেলার নামে জুয়া ও অশ্লীল নৃত্য বন্ধের দাবীতে,তিনি রাজশাহী নগরীর সকল শ্রেণী-পেশার মানুষকে অংশ নিয়ে অবৈধ মেলার নামে জুয়া ও অশ্লীলতা বন্ধের আন্দোলনে শরিক হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। এমপি আরও বলেন, ২৪ তারিখ গণমানব বন্ধনের পরেও যদি মেলার নামে জুয়া ও অশ্লীলতা বন্ধ না হয়,তাহলে আমরা রাজশাহীবাসীকে সঙ্গে নিয়ে বৃহত্তর আন্দোলনে যাব। মুখবুজে এই অপকর্ম সহ্য করবো না। এই অপকর্মের প্রতিরোধ করবো।
এর আগে গত সোমবার রাতে এমপি বাদশা গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে বলেন, মেলার নামে জুয়া বন্ধের জন্য আন্দোলন গড়ে তোলা হবে। এমপি বাদশা বলেন,আমি লক্ষ্য করছি গত কয়েক বছর থেকে রাজশাহী নওদাপাড়া বাস টার্মিনালে জায়গা দখল করে জুয়া খেলা হচ্ছে। আর মেলার নামে রাজশাহী জুড়ে চলমান জুয়াসহ বিভিন্ন অনৈতিক কর্মকান্ডের ব্যাপারে তীব্র প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করছি। মেলা মননশীল মানুষের বিনোদন ও নিত্য প্রয়োজনীয় জীবনের খোরাক যোগায়। কিন্তু রাজশাহীতে আনন্দ মেলার নামে যা হচ্ছে-তা বিবেক বিবোর্জিত,অসামাজিক এবং অশ্লীল কর্মকান্ড। এই মেলাকে সামর্থন করা মানেই আমাদের তরুন ও যুবক সম্প্রদায়কে বিপথগামী করার সামিল। এর দায় আমরা কোন ভাবে এড়িয়ে যেতে পারি না। ওই বিবৃতিতে তিনি আরো বলেন,আমি মনে করি,এই জুয়া খেলা বন্ধ হওয়া উচিৎ।
সামনে এসএসসি পরীক্ষা তারপর শহরজুড়ে মাইক ব্যবহার করা হচ্ছে যা মেনে নেওয়া যায় না। তিনি আরো বলেন,আমার অবাক লাগে রাজশাহী মহানগরের সংসদ সদস্য হিসেবে আমি এখানে রয়েছি কিন্তু কোনো কর্তৃপক্ষই আমার মতামত না নিয়ে মেলার এই অনৈতিক কার্যক্রম চালানোর অনুমতি দিয়েছে। এসব অসামাজিক কর্মকান্ড রাজশাহীর ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করছে। অবশেষে মেলা বন্ধের আহবান জানিয়ে তিনি বলেন,মেলার নামে আপত্তিকর এসব কার্যকলাপ আমাদের রাজশাহীর,ঐতিহ্য ও কৃষ্টি সাংস্কৃতির জন্য হুমকি। আমি আহবান করছি,এসব কর্মকান্ড বন্ধে স্থানীয় প্রশাসনকে দ্রুত কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহন করতে হবে না হলে রাজশাহীবাসীকে নিয়ে মেলার নামে জুয়া ও অশ্লিল নৃত্য বন্ধের জন্য আন্দোলন গড়ে তোলা হবে। এদিকে মেলা বন্ধে সামাজিক গণমাধ্যমসহ বিভিন্ন মহলেও ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে। কিন্তু তারপরেও কয়েকজন শ্রমিক নেতা,কিছু রাজনৈতিক নেতা ও পুলিশের পকেট ভরাতে এ মেলা অব্যাহত রয়েছে। আর এতে করে রাজশাহীর যুবসমাজকে ধংসের মুখে ঠেলা দেওয়া হচ্ছে। বাড়ছে চুরি,ছিনতাইসহ নানা অসামাজিক কার্যকলাপ। অপর দিকে মেলা প্রাঙ্গন হয়ে উঠেছে মাদকাশক্ত ও অপরাধীদের স্বর্গরাজ্যো। শিক্ষিত সচেতন ব্যাক্তিদের মধ্যে অনেকে বলেন,যেখানে শিশুদের বিনোদনের সুযোগ নেই,হরেক রকমের কেনাকাটার দোকানপাট নেই,রুচি সম্মত খাবার ষ্টল নেই সেটা আবার কিসের মেলা। মেলা কথাটা শুধু মাত্র প্রচার। মেলার নামে অসামাজিক কার্যকলাপ,অশ্লীল নৃত্য ও জুয়া চালিয়ে আয়োজকদের পকেট ভারী করাই একমাত্র উদ্দেশ্যে।