রাজশাহীতে ছাত্রলীগের দু’পক্ষের সংঘর্ষ, আহত ৮
রাজশাহী অফিস: আধিপত্ত বিস্তার কেন্দ্র করে বৃহস্পতিবার গভীর রাতে রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্বাবিদ্যালয়ে (রুয়েট) ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এ সময় তিনটি হাতবোমার বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। সংঘর্ষে আটজন আহত হয়েছেন। রুয়েটের শহীদ আবদুল হামিদ হলে এ সংঘর্ষের ঘটনায় আহত সাতজনকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
হাসপাতাল পুলিশ বক্সের ইনচার্জ এসআই শফিকুল ইসলাম শফি জানান, রুয়েটে সংঘর্ষের ঘটনায় আটজনকে হাসপাতালে নেয়া হয়। এদের মধ্যে সাতজনকে ভর্তি করা হয়েছে। আর একজনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেয়া হয়।
আহতদের মধ্যে ইমরান, রাজন, আশিককে ৮ নং ওয়ার্ডে এবং অর্নব, আবির, রাজ ও মাহাতিরকে ৩১ নং ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়েছে। আর মিতুনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেয়া হয়েছে বলে জানান এসআই শফি।
মহানগর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মাহমুদ হাসান রাজিব জানান, পুলিশের কাছ থেকে খবর পেয়ে রাত ১২টার দিকে মহনগর ছাত্রলীগের বর্তমান ও সাবেক নেতৃবৃন্দ রুয়েট ক্যাম্পাসে যায়। পরে তারা পুলিশের সহযোগিতায় পরিস্থিতি শান্ত করে হামিদ হল থেকে আহত আটক ছাত্রলীগ নেতাকর্মীকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হয়। আহত সবাই রুয়েট ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক চৌধুরী মাহফুজুর রহমান তপুর সমর্থক। তবে কি নিয়ে এ সংঘর্ষের সূত্রপাত তা নিশ্চিত করে জানাতে পারেননি এই ছাত্রলীগ নেতা।
মতিহার থানার ওসি শাহাদত হোসেন খান বলেন, রুয়েট ছাত্রলীগের সভাপতি নাইমুর রহমান নিবির ও সাধারণ সম্পাদক চৌধুরী মাহফুজুর রহমান তপুর সমর্থকদের মধ্যে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। সভাপতির সমর্থক এক সিনিয়র ছাত্রলীগ নেতাকে সম্মান না জানানোকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের সূত্রপাত।
ওসি শাহাদত বলেন, রাত সোয়া ১১টার দিকে দু’পক্ষের মধ্যে প্রথম কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে হাতাহাতি হয়। এর পর সভাপতির সমর্থকরা জড়ো হয়ে হলের গেট বন্ধ করে দিয়ে সাধারণ সম্পাদকের সমর্থকদের পিটিয়ে জখম করে। রাত সোয়া ১২টার দিকে পুলিশ ও নগর ছাত্রলীগের নেতৃবৃন্দ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। ক্যাম্পাসে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে বলে জানান ওসি।
এর আগে গত ২৩ জানুয়ারী দিবাগত রাতে শহীদ আবদুল হামিদ হলে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে ১১ জন আহত হন। নেশা করে হলে মাতলামি করাকে কেন্দ্র করে ওই সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়েছিল।