একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে রাজশাহীর ছয়টি আসনের মধ্যে তিনজন গণভবনের সংকেত পেয়েছেন। এমন গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়েছে নির্বাচনী এলাকাগুলোতে।
বৃহস্পতিবার রাত ১১টার দিকে গণভবন থেকে ফোন করা হয়েছিল বলে তাদের ঘনিষ্ঠ সূত্রগুলো দাবি করেছে। বিষয়টি ফেসবুকেও ছড়িয়ে পড়েছে।
এরা হলেন, রাজশাহী-৩ (পবা-মোহনপুর) আসনে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান আসাদ, রাজশাহী-৪ (বাগমারা) আসনে প্রকৌশলী এনামুল হক, রাজশাহী-৬ (বাঘা-চারঘাট) আসনে শাহারিয়ার আলম। তবে রাজশাহী-১ (গোদাগাড়ী-তানোর) এবং রাজশাহী-৫ (পুঠিয়া-দুর্গাপুর) আসনে এখনো চূড়ান্ত হয়নি বলেও সূত্রটি দাবি করেন।
সূত্রমতে, রাজশাহী-১ আসনে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ওমর ফারুক চৌধুরী ও জেলার উপদেষ্টা মতিউর রহমানকে রাখা হয়েছে। আর রাজশাহী-৫ আসনে আব্দুল ওয়াদুদ দারা ও তাজুল ইসলাম মোহাম্মাদ ফারুকের নাম রয়েছে। এ দুইটি আসনে পরে সিদ্ধান্ত হবে এমন খবর জানিয়েছে সূত্রগুলো।
এ নিয়ে জানতে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান আসাদের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করে তাকে পাওয়া যায়নি।
জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ওমর ফারুক চৌধুরী বলেন, এ সব গুজব। এখনো কারো মনোনয়ন চূড়ান্ত হয়নি। গণভবন থেকে তালিকা প্রকাশের আগে কারও মনোনয়ন নিশ্চিত নয়।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশীদের সাক্ষাৎকার অনুষ্ঠিত হয়েছে বুধবার। তবে মনোনয়ন বোর্ডের সাক্ষাৎকারগুলো সাধারণত যেভাবে অনুষ্ঠিত হয় তেমন কিছু হয়নি। সাক্ষাৎকার প্রার্থীদের সামনে দলের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মূলত দিক নির্দেশনামূলক বক্তব্য রেখেছেন।
এরপর বৃহস্পতিবার বিকেলে আওয়ামী লীগের প্রার্থী বাছাই প্রক্রিয়ার ধারাবাহিকতায় দলটির মনোনয়ন কমিটির নীতিনির্ধারণী বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। কোন কোন বিষয়ের ভিত্তিতে মনোনয়ন দেওয়া হবে, শরিকদের জন্য কত আসন ছাড় দেওয়া হবে সেখানে এসব বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়।
আওয়ামী লীগের দায়িত্বশীল সূত্রগুলো বলছে, বৈঠকে দলটির মনোনয়ন বোর্ড মনোনয়ন প্রত্যাশীদের তিন ধরনের দলের আলাদা আলাদা সাক্ষাৎকার গ্রহণের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। এর মধ্যে একটি দলের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বিশেষভাবে বসবেন।