রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ
রাজশাহী অফিস:রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের বিনোদপুর গেটে ছাত্রলীগের দু’গ্রুপে মারামারি হয়েছে। রোববার বিকেল ৪টার দিকে বিনোদপুর বাজারে এ ঘটনা ঘটে। এতে দুই ছাত্রলীগনেতাসহ তিনজন আহত হয়েছেন। ওই ঘটনায় দুইজনকে আটক করেছে মতিহার থানা পুলিশ। ঘটনার পর এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। আহতরা হলেন- বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের বহিস্কৃত নেতা ও রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী অনিক মাহমুদ বনি, শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি মো. রাসেল ও বনি গ্রুপের ছাত্রলীগ কর্মী মিঠু। আটক দু’জন হলেন, বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি রাসেলের ফুফাত ভাই সবুজ ও তুষার। সবুজের বাবার নাম আবর আলী। তবে তুষারের বাবার নাম জানা যায়নি। তারা সবাই বিনোদপুরের বাসিন্দা।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রোববার বিকেলে বিনোদপুরে চা খেতে এসেছিলেন ছাত্রলীগ নেতা রাসেল। পূর্ব শত্রুতার জেরে রাসেলকে দেখে বিনোদপুরে অবস্থান করা অনিক মাহমুদ বনি খারাপ ভাষায় সম্মোধন করে। রাসেলের কাছে অস্ত্র আছে দাবি করে সাথে থাকা ছাত্রলীগ কর্মীদের নিয়ে রাসেলের উপর হামলা করে। এতে রাসেলের নাক থেকে রক্ত বের হয়। তা দেখে রাসেলের ফুফাত ভাই ঘটনাস্থলেই বনির উরুতে ছুরিকাঘাত করে। বনিকে বাঁচাতে এসে রাজশাহী কলেজের ছাত্রলীগ নেতা মিঠুও ছুরিকাঘাতের শিকার হন। বনি ও মিঠুকে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তারা রামেকের ৫ নং ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন।
এদিকে কিছুক্ষণের মধ্যেই উপস্থিত হয়ে সবুজ ও তুষারকে ঘটনাস্থল থেকে আটক করে মতিহার থানার পুলিশ।
এদিকে বিষয়টি রাবি ছাত্রলীগের সভাপতি গোলাম কিবরিয়া জানান, ‘ঘটনাটি স্থানীয় ছাত্রলীগের মাঝে সংঘটিত হয়েছে। এ ঘটনার সাথে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সম্পৃক্ততা নেই’।
মতিহার থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মেহেদী হাসান বলেন, ‘ছাত্রলীগের দুই পক্ষের মধ্যে মারামারি হয়েছে। এতে তিনজন আহত হয়। আহতদের ২ জনকে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল রামেকে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে দুইজনকে আটক করা হয়েছে’।
এদিকে মতিহার থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) মাহবুব আলম জানান, ঘটনাস্থলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের মোতায়েন করা হয়েছে। পরিস্থিতি এখন পুলিশের নিয়ন্ত্রণে আছে।
বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর লুৎফর রহমানের ফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তা বন্ধ পাওয়া যায়।