রাজশাহী-৫ আসনের নাদিম মোস্তফার মনোনয়নপত্র বাতিল
রাজশাহী-৫ (পুঠিয়া-দুর্গাপুর) আসনে বিএনপির প্রার্থী ও সাবেক এমপি নাদিম মোস্তফার মনোনয়নপত্র বাতিল করেছে রিটানিং অফিসার। রোববার বিকেলে মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই শেষে জেলা প্রশাসক ও রিটানিং অফিসার এসএম আব্দুল কাদের তাদের মনোনয়নপত্র বাতিল করেন।
ঋণখেলাপী ও তার বিরুদ্ধে ১০ মামলার তথ্য গোপন করায় তার মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে। তিনি ১০ মামলার কোন তথ্য মনোনয়নপত্রে দেনটি। ফলে তথ্য গোপন ও ঋণখেলাপীর কারণে তার মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়।
এছাড়াও এ আসনে আরও তিনজনের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে। এরা হলেন, যুবলীগ নেতা ওবাইদুর রহমান, বিএনপি নেতা আবু বকর সিদ্দিক ও ইসলামী আন্দোলনের রুহুল আমিন। এদের মধ্যে আবু বকর সিদ্দিকের বিরুদ্ধে দলের মহাসচিব মীর্জা ফখরুলের স্বাক্ষর জাল করার অভিযোগ উঠলে তার মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়। আর আওয়ামী লীগের প্রার্থী লিখলেও দলীয় প্রত্যায়নপত্র না থাকায় মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে যুবলীগ নেতা ওবাইদুর রহমানের।
সকাল থেকে জেলা প্রশাসকের সভা কক্ষে রাজশাহী জেলা প্রশাসক ও রিটানিং অফিসার এসএম আব্দুল কাদের প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই করছেন। প্রথমে রাজশাহী-১ আসনের প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই করা হয়। এর পর রাজশাহী-২, রাজশাহী-৩, রাজশাহী-৪ এবং রাজশাহী-৫ আসনের মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই করেন রিটানিং অফিসার।
এর মধ্যে রাজশাহী-১ আসনে বিএনপির প্রার্থী সাবেক মন্ত্রী ব্যারিস্টার আমিনুল হকসহ আটজন, রাজশাহী-২ আসনে দুইজন ও রাজশাহী-৩ আসনে মেরাজ উদ্দিন মোল্লা, বিএনপির মতিউর রহমান মন্টু ও জাতীয় পার্টির শাহবুদ্দিন বাচ্চুসহ পাঁচজন ও রাজশাহী-৪ আসনে বিএনপির অধ্যাপক আব্দুল গফুরসহ দুইজনের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়। এর পর রাজশাহী-৫ আসনের মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই করা হয়।
রাজশাহী-৫ (পুঠিয়া-দুর্গাপুর) আসনে ১১ জন মনোনয়নপত্র দাখিল করেছিলেন। এরা হলেন, আওয়ামী লীগের ডাঃ মুনসুর রহমান ও ওবায়দুর রহমান, বিএনপির সাবেক এমপি নাদিম মোস্তফা, জেলা বিএনপির সহসভাপতি অধ্যাপক নজরুল ইসলাম মন্ডল, বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য আবু বকর সিদ্দিক ও বিএনপি নেত্রী মাহমুদা হাবীবা, জাতীয় পার্টির আবুল হোসেন, বিএনএফের মখলেসুর রহমান, জাকের পার্টির শফিকুল ইসলাম, ইসলামী আন্দোলনের রুহুল আমিন এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ও সাবেক এমপি তাজুল ইসলাম মো: ফারুক।