রাবি অধ্যাপককে যেভাবে হত্যা করেছিল জেএমবির সদস্যরা
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক এ এফ এম রেজাউল করিম সিদ্দিকীকে হত্যার পূর্বাপর সব ঘটনা বর্ণনা করেছেন নব্য জেএমবির সদস্য মো. শরীফুল ইসলাম।
শুক্রবার চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোল এলাকায় অভিযান চালিয়ে মো. শরীফুল ইসলাম ওরফে খালেদ ওরফে রাহাত ওরফে সাইফুল্লাহ ওরফে নাহিদ ওরফে আবু সোলাইমানকে (২৭) গ্রেফতার করে র্যাব।
শরীফুল র্যাবের জিজ্ঞাসাবাদে জানান, সংগঠনের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক রেজাউলকে হত্যার পরিকল্পনা করা হয়। পরিকল্পনার অংশ হিসেবে রেকি করে ওই শিক্ষকের অবস্থান ও গতিবিধিসহ যাবতীয় তথ্য সংগ্রহ করেন তারা।
দলটির সদস্য রিপন আলী ওরফে রকি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষকদের ক্লাসের রুটিনের ছবি মোবাইল ক্যামেরায় তুলে শরিফুলকে পাঠান। ওসমান মিলু ও মাসকাওয়াত ওরফে আব্দুল্লাহ হত্যার কাজে ব্যবহৃত মোটরসাইকেল সংগ্রহ করে নিয়ে আসেন।
পরে শরীফুলের নেতৃত্বে এই হত্যাকাণ্ড সংঘঠিত হয়। হত্যাকাণ্ড শেষে হাসান ওরফে বাইক হাসান মোটর সাইকেলে শরীফুল ও খাইরুল ইসলাম পায়েলকে নিয়ে খরখড়ি বাইপাসের কাছে খাইরুলকে নামিয়ে দেন।
খাইরুল চাপাতি, রক্তমাখা কাপড় চোপড়ের ব্যাগ নিয়ে যান। পরে বাইক হাসান ও শরীফুল নাটোরে গিয়ে বাইক হাসানের ভাড়া বাসায় উঠেন। পরদিন শরীফুল ঢাকায় চলে আসেন। ঢাকায় ২/১ দিন অবস্থান করার পর আমিরের নির্দেশে আত্মগোপনে চলে যান।
২০১৬ সালের ২৩ এপ্রিল সকালে রাজশাহী নগরের শালবাগান এলাকায় নিজের বাড়ি থেকে ৫০ গজ দূরে কুপিয়ে ও গলা কেটে হত্যা করা হয় রেজাউল করিম সিদ্দিকীকে।
তার ছেলে রিয়াসাত ইমতিয়াজ সৌরভ পরে অজ্ঞাতপরিচয় আসামিদের বিরুদ্ধে বোয়ালিয়া থানায় হত্যা মামলা করেন।
ইংরেজির শিক্ষক রেজাউল ‘কোমলগান্ধার’ নামে একটি সাহিত্য পত্রিকা সম্পাদনা করতেন। ‘সুন্দরম’ নামে একটি সাংস্কৃতিক সংগঠনের উপদেষ্টা ছিলেন তিনি।