রাসূলুল্লাহ (সা.) এর দুনিয়া বিমুখতা

426

প্রয়োজনের অধিক পার্থিব বস্তুর ভোগ পরিহার করা রাসূল (সা.) এর জীবনের অন্যতম বৈশিষ্ট্য ছিল। একবার ওমর (রা.) রাসূলুল্লাহ (সা.) এর নিকট এলেন, তখন তাঁকে খেজুর-আঁশ-ভর্তি চামড়ার বিছানায় দেখে বললেন,

faijullah-nobijir-duniya-bimukhota-image

إن كسرى وقيصر ينامان على كذاو كذا، وأنت رسول الله تنام على كذا وكذا، فقال النبي صلى الله عليه وسلم: مالي وللدنيا يا عمر، وإنما أنا فيها كراكب استظل بظل شجرة، ثم راح وتركها

“কায়সার ও কিসরা (রোম ও পারস্যের সম্রাটরা) এমন এমন(অনেক আরামদায়ক) স্থানে ঘুমায়, অথচ আপনি আল্লাহর রাসূল, তবুও আপনি ঘুমান এরকম বিছানায়। রাসূল সাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন: আমার সাথে দুনিয়ার:ভোগ-বিলাসের সাথে কীসের সম্পর্ক ? আমি তো এখানে পথিকের মত, যে গাছের ছায়া গ্রহণ করে, অতঃপর তা ছেড়ে চলে যায়।” –সুনানে  তিরমিজী, হাদিস নং: ২২৯৯

রাসূলুল্লাহ (সা.) দুআ করতেন,اللهم اجعل رزق آل محمد قوتا
“হে আল্লাহ! মুহাম্মদের পরিবারের জীবিকা পরিমিত মাত্রায় দান করো।” –সহীহ বুখারী, হাদিস নং: ৫৯৭৯

তাঁর দুনিয়া বিমুখতার অন্যতম প্রমাণ হচ্ছে, তিনি যখন ইহকাল ত্যাগ করেন, তখন তাঁর ঘরে কেবল আয়েশা (রা.) এর আলমারিতে সামান্য পরিমাণে গম ছাড়া কিছুই ছিল না। একটি লৌহ বর্ম ছিল; সেটিও ত্রিশ সা’ (প্রাচীন আরবে প্রচলিত পরিমাপের নির্দিষ্ট একটি ওজন) খেজুরের বিনিময়ে এক ইহুদির নিকট বন্ধক রাখা ছিল।

Leave A Reply

Your email address will not be published.

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.