রিটার্নিং কর্মকর্তাদের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে ডাকা হয়নি: ইসিকে ১৪ দল
রিটার্নিং কর্মকর্তাদের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে ডেকে নিয়ে ব্রিফ করা হয়নি বলে জানিয়েছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন ১৪ দলীয় জোট। ঐক্যফ্রন্টের করা অভিযোগ কাল্পনিক ও মনগড়া দাবি করে এ বিষয়ে ব্যাখা দিয়ে আজ শুক্রবার বিকেলে ইসিতে চিঠি দিয়েছে জোটটি।
১৪ দলীয় জোটের শরিক সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক দিলীপ বড়ুয়ার নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল ইসিতে চিঠিটি জমা দেয়।
চিঠিতে বলা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে কোনো কর্মকর্তাকে ডাকা হয়নি বা তাদের ব্রিফও করা হয়নি।
চিঠিতে বিএনপির অভিযোগকে অসত্য ও মনগড়া বলে উল্লেখ করা হয়।
২০ নভেম্বর বিএনপির পক্ষ থেকে অভিযোগ করে বলা হয়, রিটার্নিং কর্মকর্তাদের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে ডেকে নিয়ে ব্রিফ করা হয়।
১৪ দলের পক্ষ থেকে ইসিকে বলা হয়েছে, বিএনপির পক্ষ থেকে সরকারি কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে কাল্পনিক অভিযোগ আনা হয়েছে। পুলিশের শীর্ষ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ তোলা হয়েছে। ইসি সচিবসহ সরকারের কয়েকজন শীর্ষ কর্মকর্তার শাস্তির দাবি ষড়যন্ত্র ছাড়া আর কিছু নয়।
প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার বিএনপির পক্ষ থেকে ৭০ জন পুলিশ কর্মকর্তা এবং জনপ্রশাসনের ২২ জন কর্মকর্তাকে প্রত্যাহারের দাবি জানানো হয়।
নির্বাচন কমিশনার রফিকুল ইসলাম ও ইসি সচিব হেলালুদ্দীন আহমদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন ১৪ দলীয় জোটের নেতৃবৃন্দ।
সাক্ষাৎ শেষে দিলীপ বড়ুয়া সাংবাদিকদের বলেন, ইসি সচিব ও প্রশাসনে রদবদলের দাবি করে ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের চেষ্টা করছে বিএনপি।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সুনির্দিষ্ট অভিযোগ থাকলে ইসি যেকোনো কর্মকর্তাকে বদলি করতে পারে।
আরেক প্রশ্নের জবাবে দিলীপ বড়ুয়া বলেন, তারেক রহমান আমাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ নয়। গুরুত্বপূর্ণ হলো একজন দণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক কয়েদি গণমাধ্যমে কথা বলছেন। এই অধিকার তার নেই।
১৪ দলের প্রতিনিধি দলে আরও ছিলেন জাতীয় পার্টির (জেপি) মহাসচিব শেখ শহীদুল ইসলাম ও আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ মাহমুদ চৌধুরী।