নিউ ইয়র্ক প্রতিনিধি: বিশ্বের সবচেয়ে নিপীড়িত জনগোষ্ঠী রোহিঙ্গাদের জাতিগত পরিচয় দেয়ার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা ইউনাইটেড ন্যাশন হাইকমিশনার ফর রিফিউজিস (ইউএনএইচসিআর)। সংস্থাটি জানায়, বিশ্বের ৩০ লাখেরও বেশি মানুষের কোনো রাষ্ট্রীয় পরিচয় নেই।
তারা তাদের অধিকার থেকে বঞ্চিত।
‘দিস ইজ আওয়ার হোম’ –স্টেটলেস মাইনোরিটিস এন্ড দেয়ার সার্চ ফর সিটিজেনশিপ শীর্ষক এক প্রতিবেদন এই আহ্বান জানিয়েছে ইউএনএইচসিআর। তারা আহ্বান জানায়, সংশ্লিষ্ট দেশের সরকার যেন ২০২৪ সালের মধ্যে এই বৈষম্য দূর করে।
জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থার আন্তর্জাতিক সুরক্ষা পরিচালক ক্যারোল ব্যাচেলর বলেন, ‘আপনি এই পৃথিবীতে নাগরিকত্ব ছাড়া বসবাস করা মানে হচ্ছে আপনার কোনো পরিচয় নেই। কোনো নথি নেই। কোনো অধিকার নেই।’
তিনি বলেন, সংশ্লিষ্ট সরকারগুলোর উচিত তাদের ভূখণ্ডে জন্ম নেয়াদের নাগরিকত্ব দেয়া। না হলে তারা রাষ্ট্রহীন থাকবে এবং এভাবেই থেকে যাবে।
অন্যান্য নাগরিকত্বহীন গোষ্ঠীদের মধ্যে সিরিয়ার কুর্দ, মাদাগাসকারের কারানা, সাবেক যুগোস্লোভিয়া প্রজাতন্ত্রের রোমা ও কেনিয়ার পেমবাকে উল্লেখ করা হয় প্রতিবেদনে। ব্যাচেলর বলেন, ‘আমরা নিশ্চিতভাবেই বলতে চাই বিশ্বের ৩০ লাখ মানুষ নাগরিকত্ব পরিচয়হীন। তাদের নাগরিকত্ব দেয়া প্রয়োজন।’
২০১২ সাল থেকে থাইল্যান্ডের প্রায় ৩০ হাজার রাষ্ট্রহীনকে নাগরিকত্ব প্রদান করা হয়েছে। কেনিয়ার মাকোন্দের প্রায় চার হাজার জনকেও গত বছর নাগরিকত্ব দেয়া হয়।
ব্যাচেলর বলেন, ‘আমরা থাইল্যান্ড, রাশিয়া ও পশ্চিম আফ্রিকার উন্নতি দেখছি। তবে প্রয়োজনের তুলনায় তার খুবই কম।’
উল্লেখ্য, গেলো ২৫ আগস্ট রাখাইনে সহিংসতার পর রোহিঙ্গাদের ওপর নিধনযজ্ঞ চালানো শুরু করে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী। হত্যা ও ধর্ষণ থেকে বাঁচতে বাংলাদেশে পালিয়ে আসে ছয় লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা। তাদের মুখ থেকে জানা যায়, মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর বর্বরতার কথা।
‘দিস ইজ আওয়ার হোম’ –স্টেটলেস মাইনোরিটিস এন্ড দেয়ার সার্চ ফর সিটিজেনশিপ শীর্ষক এক প্রতিবেদন এই আহ্বান জানিয়েছে ইউএনএইচসিআর। তারা আহ্বান জানায়, সংশ্লিষ্ট দেশের সরকার যেন ২০২৪ সালের মধ্যে এই বৈষম্য দূর করে।
জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থার আন্তর্জাতিক সুরক্ষা পরিচালক ক্যারোল ব্যাচেলর বলেন, ‘আপনি এই পৃথিবীতে নাগরিকত্ব ছাড়া বসবাস করা মানে হচ্ছে আপনার কোনো পরিচয় নেই। কোনো নথি নেই। কোনো অধিকার নেই।’
তিনি বলেন, সংশ্লিষ্ট সরকারগুলোর উচিত তাদের ভূখণ্ডে জন্ম নেয়াদের নাগরিকত্ব দেয়া। না হলে তারা রাষ্ট্রহীন থাকবে এবং এভাবেই থেকে যাবে।
অন্যান্য নাগরিকত্বহীন গোষ্ঠীদের মধ্যে সিরিয়ার কুর্দ, মাদাগাসকারের কারানা, সাবেক যুগোস্লোভিয়া প্রজাতন্ত্রের রোমা ও কেনিয়ার পেমবাকে উল্লেখ করা হয় প্রতিবেদনে। ব্যাচেলর বলেন, ‘আমরা নিশ্চিতভাবেই বলতে চাই বিশ্বের ৩০ লাখ মানুষ নাগরিকত্ব পরিচয়হীন। তাদের নাগরিকত্ব দেয়া প্রয়োজন।’
২০১২ সাল থেকে থাইল্যান্ডের প্রায় ৩০ হাজার রাষ্ট্রহীনকে নাগরিকত্ব প্রদান করা হয়েছে। কেনিয়ার মাকোন্দের প্রায় চার হাজার জনকেও গত বছর নাগরিকত্ব দেয়া হয়।
ব্যাচেলর বলেন, ‘আমরা থাইল্যান্ড, রাশিয়া ও পশ্চিম আফ্রিকার উন্নতি দেখছি। তবে প্রয়োজনের তুলনায় তার খুবই কম।’
উল্লেখ্য, গেলো ২৫ আগস্ট রাখাইনে সহিংসতার পর রোহিঙ্গাদের ওপর নিধনযজ্ঞ চালানো শুরু করে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী। হত্যা ও ধর্ষণ থেকে বাঁচতে বাংলাদেশে পালিয়ে আসে ছয় লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা। তাদের মুখ থেকে জানা যায়, মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর বর্বরতার কথা।