নিউজবিডিইউএস: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বাংলাদেশের সীমানা পেরিয়ে রোহিঙ্গা সংকটের বিষয় আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ছড়িয়ে পড়েছে। রোহিঙ্গাদের সমর্থনে সকল প্রবাসীদের আরো সোচ্চার হওয়ার আহবান জানান তিনি। স্থানীয় সময় রবিবার ভার্জিনিয়ার রিজ কার্লটন হোটেলের সুইটেযুক্তরাষ্ট্র আওয়ামীলীগের নেতাকর্মিদের সঙ্গে এক মতবিনিময় অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রীর প্রেসসচিব ইহসানুল করিম জানান, গত ২৫ সেপ্টেম্বর সোমবার গলব্লাডার অস্ত্রোপচারের পর চিকিৎসকরা প্রধানমন্ত্রীকে পূর্ণ বিশ্রামে থাকার পরামর্শ দিলেও তিনি যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন অঙ্গরাজ্য থেকে আসা আওয়ামীলীগ ও সহযোগী সংগঠনগুলোর নেতাদের সঙ্গে এই অনুষ্ঠানে অংশ নেন।আওয়ামীলীগ, শ্রমিকলীগ, যুবলীগ, মহিলা আওয়ামীলীগ, ছাত্রলীগের সর্বস্তরের বিভিন্ন গ্রুপে বিভক্ত হয়ে সাক্ষাতের সময় শেখ হাসিনার দ্রুত আরোগ্য কামনা করে সকলেই তাঁকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানান। নির্মানাধীন পদ্মা সেতুর পিলারে প্রথম স্প্যান বসানোর মধ্যে দিয়ে বহু প্রত্যাশিত দৃশ্যমান হয়ে ওঠার খবরে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বাংলাদেশ সবই পারে এটাই তার প্রমাণ।
প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, পদ্মা সেতুর পিলারে প্রথম স্প্যান বসানোর খবরে তিনি খুব খুশি। অপারেশনের পর চিকিৎসকরা তাঁকে সম্পূর্ণ বিশ্রাম নেওয়ার পরামর্শ দিলেও, এ দিন তিনি তা উপেক্ষা করেই দেখা করেছেন দলীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে।
তিনি বলেন, এটা ছিল একটা বড় চ্যালেঞ্জ। বাংলাদেশের জন্য একটা বড় সিদ্ধান্ত, কারণ এর সঙ্গে দেশের ভাবমূর্তি জড়িত ছিল। এত বড় আর খরস্রোতা একটা নদীর ওপর এত বড় একটা সেতু নির্মাণ করে আমরা বিশ্বের সামনে একাট উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করলাম। আমরা রাজনীতি করি মানুষের জন্য। আমরা কাজ করি মানুষের জন্য। আর আমরা যে তা পারি, তা করে দেখিয়েছি।
দুর্নীতি ও জালিয়াতির অভিযোগ তুলে পদ্মা সেতু প্রকল্প থেকে বিশ্বব্যাংকের মুখ ফিরিয়ে নেওয়ার পর, নিজেদের অর্থায়নেই তা করে দেখানোর সাহসী সিদ্ধান্ত নেওয়াকে স্মরণ করে তিনি বলেন, এটা ছিল একটা বড় চ্যালেঞ্জ, বাংলাদেশের জন্য বড় সিদ্ধান্ত, নিজেদের অর্থায়নে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা আমাদের ভাবমূর্তির সঙ্গেও জড়িত। পদ্মার মতো একটি স্রোতস্বিনী নদীতে এমন বড়মাপের সেতু নির্মাণ কাজে হাত দিয়ে আমরা বিশ্বের বুকে উদাহরণ স্থাপন করেছি বলেও জানান তিনি।
এ সময় আবেগতাড়িত হয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা, বাঙালি জাতিরা যুদ্ধ করে দেশকে স্বাধীন করেছি। আমরা যা চাই তাই করতে পারি, যদি আমরা সৎ ও সংকল্পবদ্ধ থাকি। তিনি আরো বলেন, আমরা জনগণের জন্য রাজনীতি করি, জনগণের জন্য কাজ করি এবং আমরা পারি তা প্রমাণ করেছি। প্রেসসচিব বলেন, স্বপ্নের পদ্মা সেতু প্রকল্প বাস্তবায়নে পূর্ণ সমর্থন দিয়ে যাওয়ায় বাংলাদেশের মানুষ এবং প্রবাসী বাংলাদেশিদের ধন্যবাদ ও অভিনন্দন জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
প্রধানমন্ত্রীর সাক্ষাতের সময় মেট্টো ওয়াশিংটন আওয়ামীলীগের সভাপতি সাদেক খান, সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুন্নবী বাকি, সহ-সভাপতি শিব্বির আহমেদ, আনোয়ার হোসেন, আখতার হোসেন, মুজিবর রহমান, নূরল আমিন ও সহ-সম্পাদক হারুন অর রশীদ। ম্যারিল্যান্ড অঙ্গরাজ্য আওয়ামীলীগের সভাপতি শেখ সেলিম, সাধারণ সম্পাদক মইনুল তাপস সহ-সভাপতি বিশ্বজিৎ দাস, এবং জ্যেষ্ঠ নেতা ড. খন্দকার মনসুর। ভার্জিনিয়া আওয়ামীলীগের সভাপতি রফিক পারভেজ,ভারপ্রাপ্ত সাধারন সম্পাদক আমর ইসলাম ও সহ-সভাপতি আবুল হাশেম উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়াও নিউ ইয়র্ক, ম্যাসাচুসেটস, কানেকটিকাট, ক্যালিফোর্নিয়া, ফ্লোরিডা, জর্জিয়া আওয়ামীলীগের নেতাকর্মিরাও পৃথক পৃথকভাবে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাত করেন। নেতাকর্মিরা যখন শেখ হাসিনার সাথে সাক্ষাৎ ও মতবিনিময় করেন সে সময় তাঁর সুইটে ছিলেন ওয়াশিংটনে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ জিয়াউদ্দিন এবং প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা টিমের শীর্ষ কর্মকর্তারা।
এদিকে, শেখ হাসিনার সাথে সাক্ষাতের জন্যে জড়ো হওয়া কয়েক শত নেতাকর্মি দিনভর টাইসন বুলেভার্ডে ‘শান্তি সমাবেশ’ করেন। তারা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশে চলমান উন্নয়নের সমর্থনে স্লোগান দেন। বিশেষ করে রোহিঙ্গা ইস্যুতে শেখ হাসিনার ভূমিকার প্রশংসা করে অনেকে বক্তব্য রাখেন।
একইসাথে মুখোমুখি অবস্থান নিয়ে বিএনপির নেতাকর্মিরা প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করেন। এ সময় তাঁরা সরকার বিরোধী নানা ধরনের শ্লোগান দেন। পুলিশ ব্যারিকেডের বাইরে মুখোমুখি উভয় দলের পাল্টা পাল্টি শ্লোগানে চরম উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। তবে কোন অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।
প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, পদ্মা সেতুর পিলারে প্রথম স্প্যান বসানোর খবরে তিনি খুব খুশি। অপারেশনের পর চিকিৎসকরা তাঁকে সম্পূর্ণ বিশ্রাম নেওয়ার পরামর্শ দিলেও, এ দিন তিনি তা উপেক্ষা করেই দেখা করেছেন দলীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে।
তিনি বলেন, এটা ছিল একটা বড় চ্যালেঞ্জ। বাংলাদেশের জন্য একটা বড় সিদ্ধান্ত, কারণ এর সঙ্গে দেশের ভাবমূর্তি জড়িত ছিল। এত বড় আর খরস্রোতা একটা নদীর ওপর এত বড় একটা সেতু নির্মাণ করে আমরা বিশ্বের সামনে একাট উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করলাম। আমরা রাজনীতি করি মানুষের জন্য। আমরা কাজ করি মানুষের জন্য। আর আমরা যে তা পারি, তা করে দেখিয়েছি।
দুর্নীতি ও জালিয়াতির অভিযোগ তুলে পদ্মা সেতু প্রকল্প থেকে বিশ্বব্যাংকের মুখ ফিরিয়ে নেওয়ার পর, নিজেদের অর্থায়নেই তা করে দেখানোর সাহসী সিদ্ধান্ত নেওয়াকে স্মরণ করে তিনি বলেন, এটা ছিল একটা বড় চ্যালেঞ্জ, বাংলাদেশের জন্য বড় সিদ্ধান্ত, নিজেদের অর্থায়নে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা আমাদের ভাবমূর্তির সঙ্গেও জড়িত। পদ্মার মতো একটি স্রোতস্বিনী নদীতে এমন বড়মাপের সেতু নির্মাণ কাজে হাত দিয়ে আমরা বিশ্বের বুকে উদাহরণ স্থাপন করেছি বলেও জানান তিনি।
এ সময় আবেগতাড়িত হয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা, বাঙালি জাতিরা যুদ্ধ করে দেশকে স্বাধীন করেছি। আমরা যা চাই তাই করতে পারি, যদি আমরা সৎ ও সংকল্পবদ্ধ থাকি। তিনি আরো বলেন, আমরা জনগণের জন্য রাজনীতি করি, জনগণের জন্য কাজ করি এবং আমরা পারি তা প্রমাণ করেছি। প্রেসসচিব বলেন, স্বপ্নের পদ্মা সেতু প্রকল্প বাস্তবায়নে পূর্ণ সমর্থন দিয়ে যাওয়ায় বাংলাদেশের মানুষ এবং প্রবাসী বাংলাদেশিদের ধন্যবাদ ও অভিনন্দন জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
প্রধানমন্ত্রীর সাক্ষাতের সময় মেট্টো ওয়াশিংটন আওয়ামীলীগের সভাপতি সাদেক খান, সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুন্নবী বাকি, সহ-সভাপতি শিব্বির আহমেদ, আনোয়ার হোসেন, আখতার হোসেন, মুজিবর রহমান, নূরল আমিন ও সহ-সম্পাদক হারুন অর রশীদ। ম্যারিল্যান্ড অঙ্গরাজ্য আওয়ামীলীগের সভাপতি শেখ সেলিম, সাধারণ সম্পাদক মইনুল তাপস সহ-সভাপতি বিশ্বজিৎ দাস, এবং জ্যেষ্ঠ নেতা ড. খন্দকার মনসুর। ভার্জিনিয়া আওয়ামীলীগের সভাপতি রফিক পারভেজ,ভারপ্রাপ্ত সাধারন সম্পাদক আমর ইসলাম ও সহ-সভাপতি আবুল হাশেম উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়াও নিউ ইয়র্ক, ম্যাসাচুসেটস, কানেকটিকাট, ক্যালিফোর্নিয়া, ফ্লোরিডা, জর্জিয়া আওয়ামীলীগের নেতাকর্মিরাও পৃথক পৃথকভাবে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাত করেন। নেতাকর্মিরা যখন শেখ হাসিনার সাথে সাক্ষাৎ ও মতবিনিময় করেন সে সময় তাঁর সুইটে ছিলেন ওয়াশিংটনে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ জিয়াউদ্দিন এবং প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা টিমের শীর্ষ কর্মকর্তারা।
এদিকে, শেখ হাসিনার সাথে সাক্ষাতের জন্যে জড়ো হওয়া কয়েক শত নেতাকর্মি দিনভর টাইসন বুলেভার্ডে ‘শান্তি সমাবেশ’ করেন। তারা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশে চলমান উন্নয়নের সমর্থনে স্লোগান দেন। বিশেষ করে রোহিঙ্গা ইস্যুতে শেখ হাসিনার ভূমিকার প্রশংসা করে অনেকে বক্তব্য রাখেন।
একইসাথে মুখোমুখি অবস্থান নিয়ে বিএনপির নেতাকর্মিরা প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করেন। এ সময় তাঁরা সরকার বিরোধী নানা ধরনের শ্লোগান দেন। পুলিশ ব্যারিকেডের বাইরে মুখোমুখি উভয় দলের পাল্টা পাল্টি শ্লোগানে চরম উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। তবে কোন অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।