লক্ষ্মীপুরে ৭৬ যুবলীগ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে পুলিশের মামলা
লক্ষ্মীপুরে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ ও সদর হাসপাতালে ভাংচুরের অভিযোগে জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদকসহ যুবলীগের ৭৬ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে এ ঘটনায় আটককৃত ১০ জনকে এ মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।
এর আগে বুধবার দুপুরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আওয়ামী লীগের এক নেতার উপর হামলার সময় পুলিশের সাথে যুবলীগের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে পুলিশসহ ১০ জন আহত হয় এবং যুবলীগের ১০ নেতাকে আটক করা হয়। পরে রাতেই সদর থানার এসআই আবদুল আলীম বাদী হয়ে জেলা যুবলীগের আবদুল্লাহ আল নোমানসহ ২৬ নেতাকর্মীর নাম উল্লেখ করে আরো ৪০ থেকে ৫০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে মামলা দায়ের করেন।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন, যুবলীগ নেতা মাহাবুবুল হক মাহবুব, রুপম হাওলাদার, ইকবাল হোসেন হিমেল ক্বারী, মিজানুর রহমান, আশিক মাহমুদ, আকিব খাঁন, রেজাউল ইসলাম, সাইফুদ্দিন, আজগর আলী ও মোহাম্মদ আলী। তারা সবাই উপজেলা ও পৌর যুবলীগের কমিটির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা বলে জানিয়েছে পুলিশ। বুধবার দুপুর থেকে রাত পর্যন্ত শহরের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের ১০ জনকে গ্রেফতার করা হয়।
পুলিশ সুপার আসম মাহাতাব উদ্দিন জানান, পুলিশের কাজে বাধা, পুলিশ সদস্যদের মারধর এবং হাসপাতালে বিশৃংখলা ও ভাংচুর করার অভিযোগে ২৬ জনের নাম উল্লেখ করে আরো ৪০ থেকে ৫০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে মামলা দায়ের করা হয়েছে। এ মামলায় ১০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। অন্যদের গ্রেফতারের অভিযান চলছে। অপরাধী যতবড়ই হোক। কেউ আইনের ঊর্ধ্বে নয়।
প্রসঙ্গত, পূর্ব শত্রুতার জেরে বুধবার সকালে সদর উপজেলার লাহারকান্দি ইউনিয়নের আটিয়াতলী গ্রামের আওয়ামী লীগ কর্মী দেলোয়ার হোসেন লাহারকান্দি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ফজলুর রহমানকে একটি ছোরা দিয়ে কুপিয়ে আহত করে। বিষয়টি টের পেয়ে স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও যুবলীগ নেতাকর্মীরা দেলোয়ারকে পিটিয়ে পুলিশে খবর দেন। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে আহত দুজনকে উদ্ধার করে লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করে।
এ খবর পেয়ে ফজলুর রহমানের সমর্থকরা সদর হাসপাতালে জড়ো হয়ে চিকিৎসাধীন আহত দেলোয়ারের ওপর হামলা চালান। এ সময় উপস্থিত পুলিশ তাদের বাধা দিলে পুলিশের ওপরও হামলা করা হয়। এক পর্যায়ে যুবলীগ নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ বাধে। এতে এসআই আব্দুল আলীম, এএসআই গিয়াস উদ্দিন ও জেলা যুবলীগের সভাপতি সালাহ উদ্দিন টিপুসহ ১০ জন আহত হন। পরে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ১০টি মোটরসাইকেল জব্দ করে নিয়ে যায়। এছাড়া এ ঘটনায় যুবলীগের ১০ নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়।