লজ্জা ধর্ষিতার নয়, এ লজ্জা জাতির: ড. কামাল
নোয়াখালীর সুবর্ণচরে সেই গৃহবধূকে গণধর্ষণের ঘটনায় গভীর উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠা প্রকাশ করেছেন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের আহ্বায়ক ও গণফোরামের সভাপতি ড. কামাল হোসেন। ঘটনার ৫ দিনে পর উদ্বেগ জানিয়ে বিবৃতি দিলেন তিনি।
শুক্রবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে কামাল হোসেন বলেন, কোনো গণতান্ত্রিক দেশে এমন ঘটনা কল্পনাও করা কঠিন। এ ঘটনা জাতি হিসেবে আমাদেরকে অত্যন্ত হেয় প্রতিপন্ন করেছে।
ভোটকেন্দ্রে পছন্দের প্রতীকে ভোট দেয়ার বাকবির্তকের জের ধরে রোববার দিবাগত রাত ১২টার দিকে ঘরের দরজা ভেঙে ওই গৃহবধূর ঘরের ভেতরে প্রবেশ করে স্থানীয় সোহেল, স্বপন, চৌধুরী, বেচুসহ ১০জন।
এসময় তারা ঘরে ভাংচুর করে ভিকটিমের স্বামীকে মারধর ও ৪ সন্তানকে বেঁধে রেখে গৃহবধূকে উঠানে নিয়ে পালাক্রমে ধর্ষণ ও হত্যা চেষ্টা করে।
পরে এ ঘটনায় ভিকটিমের স্বামী বাদী হয়ে ৯জনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন। তবে মামলায় রুহুল আমিন মেম্বারকে আসামি করা হয়নি।
ড. কামাল হোসেন বলেন, পুলিশ বাদীর কথিত মতে হুকুমের আসামিসহ অনেকের নাম বাদ দেয়াতে আমি ক্ষোভ প্রকাশ করছি। অনতিবিলম্বে তাদের আইনের আওতায় আনার দাবি করছি।
তিনি বলেন, এই ঘটনা আমাদের গণতান্ত্রিক অধিকার, মৌলিক মানবাধিকার ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতাকে হুমকির সম্মুখীন করেছে। এতে আমরা ভীষণ ভাবে ক্ষুব্ধ, উদ্বিগ্ন ও মর্মাহত।
প্রবীণ এই আইনজীবী বলেন, এমন ঘটনার যেন পুনরাবৃত্তি না ঘটে সেজন্য দেশের মর্মাহত জনগণকেই উদ্যোগী হতে হবে। এই লজ্জা ওই নারীর নয় বরং এ লজ্জা সমগ্র জাতির। এ নির্যাতিত আমাদের গণতন্ত্র ও মৌলিক মানবাধিকারের।