শামীম ওসমানের নির্দেশে আমাকে হত্যা করতেই এই হামলা : আইভী

158
ঢাকা অফিস: নারায়ণগঞ্জ প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে আইভী বলেন, শামীম ওসমানের নির্দেশে তার ক্যাডার বাহিনী হত্যার উদ্দেশে আমার ওপর সশস্ত্র হামলা চালিয়েছে। আমার নিরস্ত্র নিরীহ কর্মীদের ওপর বৃষ্টির মত ইট-পাটকেল ও গুলি বর্ষণ করেছে। এতে সাংবাদিকসহ আমার অর্ধ শতাধিক নেতাকর্মী আহত হয়েছে। ‘আমি মৃত্যুকে ভয় করি না। আমি নগর ভবন থেকে শান্তিপূর্ণভাবে হেঁটে আসছিলাম। শহরের বঙ্গবন্ধু সড়কের চাষাড়া সায়েম প্লাজার সামনে আসা মাত্র শামীম ওসমানের ক্যাডার নিয়াজুল পিস্তল উঁচিয়ে গুলি করে। আমার নেতাকর্মীরা মার খেয়ে আহত হয়ে এক ঘণ্টার মতো আমাকে নিরাপত্তা বলয় তৈরি করে ঘিরে রাখলেও পুলিশ সম্পূর্ণ নীরব ভূমিকা পালন করেছে। তাহলে পুলিশ প্রশাসন কি চেয়েছে। আমাকে হত্যা করা হোক। তারপর আমার লাশ পৌঁছে দিবে?mthumb
চাষাঢ়ার রাইফেলস ক্লাবে বসে শামীম ওসমান আমার ওপর হামলা চালানোর নির্দেশ দিয়েছেন। নির্দেশ পেয়ে তার লোকজন ইটপাটকেল ছোড়ে। এটা নিরস্ত্র লোকের ওপর সশস্ত্র হামলা। এ হামলায় আমি এবং সাংবাদিকসহ অর্ধশতাধিক নেতাকর্মী আহত হয়েছেন।

হামলার সময় প্রশাসনের নিষ্ক্রিয় ভূমিকার অভিযোগ এনে আইভী জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের প্রত্যাহার দাবি করেছেন। তিনি বলেন, প্রকাশ্যে এক ঘণ্টা আমার ওপর সশস্ত্র হামলা করা হলো। আমাকে রক্ষা করার জন্য নেতাকর্মীরা নিরাপত্তা বলয় তৈরি করে মার খাচ্ছিল এবং একে একে তারা আহত হচ্ছিল, আমি আহত হলাম। সাংবাদিক আহত হলো, অসংখ্য নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষ আহত হলো অথচ পুলিশ নীরব ভূমিকা পালন করলো। এটা মেনে নেয়া যায় না। শুধু তাই নয়, এজন নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি, তাও আবার ক্ষমতাসীন দলের মেয়র রাস্তায় মার খাচ্ছে পুলিশ দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে দেখছে। কাদের ঈশারায় প্রশাসন এমন ভূমিকা পালন করেছে। আমি ডিসি ও এসপির প্রত্যাহার দাবি করছি।

হামলা ও সংঘর্ষের পর নারায়ণগঞ্জ প্রেস ক্লাবে গিয়ে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন। আইভীর প্রেস ব্রিফিং শেষ হওয়ার পর সন্ধ্যা ৬টা দিকে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) মতিয়ার রহমান প্রেস ক্লাবে গিয়ে আইভীর সঙ্গে দেখা করতে গেলে উত্তেজনা দেখা দেয়।

 

Leave A Reply

Your email address will not be published.

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.