শেষ বিকেলের স্বস্তি তাইজুল-নাঈম
তিন’শ রান পেরোনো নিয়েই শঙ্কা জেগেছিল বাংলাদেশের প্রথম ইনিংসে। মুমিনুল হকের সেঞ্চুরি স্বত্বেও প্রথম টেস্টের প্রথম দিনটা নিজেদের করে নিচ্ছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। তবে মিডল অর্ডার ব্যর্থতা কিছুটা হলেও ঢাকা পড়ল লেজের ব্যাটসম্যানদের দৃঢ়তায়। শেষ বিকেলে দর্শকদের মনে স্বস্তির বাতাস বইয়ে দিলেন তাইজুল ইসলাম ও অভিষিক্ত নাঈম হাসান।
মুমিনুল হক ১২০, ইমরুল কায়েস ৪৪, সাকিব আল হাসান ৩৪ রানের ইনিংস খেললেন। ৪ উইকেট নিয়ে শ্যানন গ্যাব্রিয়েলে ক্যারিবীয়দের সবচেয়ে সফল বোলার। ২ উইকেটে নেন জোমেল ওয়ারিক্যান।
ওপর ওপেনার ইমরুল কায়েসের সঙ্গে মুমিনুল হকের লড়াই শুরু এরপর। টেস্টে ফর্মহীনতার মধ্যে যাচ্ছেন ইমরুলও। এদিন দুই বার জীবন পেয়েও ৪৪ রানের বেশি করতে পারলেন না। তবে মুমিনুল হকের সঙ্গে তার দ্বিতীয় উইকেটে ১০৪ রানের জুটি মহামূল্যবান হয়েই থাকবে।
ইমরুলের বিদায়ের পর মোহাম্মদ মিঠুনের সঙ্গে মুমিনুল গড়ে তুলেন ৪৮ রানের জুটি। ভালো খেলতে খেলতেও ২০ রান করে মিঠুন উইকেট উপহার দেন দেবেন্দ্র বিশুকে। এরপর সাকিব আল হাসানের সঙ্গে জুটিতে দলকে এগিয়ে নেন মুমিনুল।
তবে একটা জায়গায় কোহলির চেয়ে এগিয়ে থাকছেন মুমিনুল। কোহলির যেখানে চার সেঞ্চুরির জন্য লেগেছে ১৮ ইনিংস, মুমিনুলের সেখানে লেগেছে ১৩ ইনিংস।
সেঞ্চুরিয়ান মুমিনুল হককে তো ফেরালেনই, একই সঙ্গে গ্যাব্রিয়েল তুলে নিলেন সাকিব আল হাসান (৩৪), মুশফিকুর রহিম (৪) ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদকে (৩)। ৪ উইকেটে ২২২ থেকে মুহূর্তেই ৭ উইকেটে ২৩৫ হয়ে যায় বাংলাদেশের স্কোর।
ঠিক তখন তিন’শ রানের নিচে অল আউট হয়ে যাওয়ার শঙ্কা জাগে টাইগারদের। কিন্তু তাইজুল ও নাঈম মাটি কামড়ে পড়ে রইলেন উইকেটে। দিন শেষে নবম উইকেটে ৫৬ রান যোগ করেন তাইজুল-নাঈম।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
প্রথম দিন শেষে
বাংলাদেশ প্রথম ইনিংস : ৮৮ ওভারে ৩১৫/৮ (ইমরুল ৪৪, সৌম্য ০, মুমিনুল ১২০, মিঠুন ২০, সাকিব ৩৪, মুশফিক ৪, মাহমুদউল্লাহ ৩, মিরাজ ২২, নাঈম ২৪*, তাইজুল ৩২; রোচ ১/৫৫, গ্যাব্রিয়েল ৪/৬৯, চেজ ০/৪২, ওয়ারিক্যান ২/৬২, বিশু ১/৬০, ব্র্যাথওয়েট ০/১৯)।