সংঘাত এড়াতে সংযত হতে বলল জাতিসংঘ
বাংলাদেশে নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতা এড়াতে সবপক্ষকে সংযত আচরণ করার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ। সোমবার জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্থনিও গুতেরেসের মুখপাত্র স্টিফেন ডুজারিক এক বিবৃতিতে এ আহ্বান জানান।
এতে বলা হয়, বাংলাদেশে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অনিয়ম ও সহিংসতা সম্পর্কে জাতিসংঘ সচেতন রয়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়, নির্বাচন পরবর্তী পরিবেশকে শান্তিপূর্ণ নিশ্চিত করতে হবে, যেখানে মানুষ সভা সমাবেশ ও মতপ্রকাশ করতে পারে।
নির্বাচনী প্রচারণা, নির্বাচনের দিনে প্রার্থী ও ভোটারদের প্রাণহানি এবং আহতের ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করেছে সংস্থাটি। বলেছে, ‘আমরা প্রার্থী ও ভোটারদের প্রাণহানি এবং আহত হওয়ার সংবাদে দুঃখপ্রকাশ করছি।’
জাতিসংঘের বিবৃতিতে বলা হয়, নির্বাচন-সংক্রান্ত অভিযোগকে শান্তিপূর্ণ উপায়ে ও আইনগত উপায়ে তুলে ধরার জন্য আমরা সব দলকে উৎসাহিত করি। মানুষ ও তাদের সহায় সম্পত্তির ওপর সহিংসতা গ্রহণযোগ্য নয়।
মিডিয়ার খবরের ওপর ভিত্তি করে জাতিসংঘ বলেছে, নির্বাচনে ভূমিধস বিজয় পেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এতে তিনি টানা তৃতীয়বার নির্বাচিত হলেন। তবে বিরোধীরা জালিয়াতির ভোট আখ্যা দিয়ে এ ফলকে প্রত্যাখ্যান করেছে।
নির্বাচনের দিন রোববার সহিংসতায় ১৭ জন নিহত হন। শেখ হাসিনার সরকারের বিরুদ্ধে বিরোধীদের অভিযোগ, নির্বাচনী প্রচারণার সময় অসংখ্য নেতাকর্মীকে আটক ও কারাগারে পাঠানো হয়।
ভূমিধস বিজয়ের পরদিন সোমবার বিদেশি পর্যবেক্ষক ও সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। সেখানে তিনি আওয়ামী লীগের জয়ের পেছনে এবং বিরোধীদের পরাজয়ের বিভিন্ন কারণ তুলে ধরেন। যদিও বিরোধীদের দাবি, ইলেকশান ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের মাধ্যমে জালিয়াতি করেই বিজয়ী হয়েছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ।
নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ বলেছেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ জোট নির্বাচনে ২৮৮ আসনে বিজয়ী হয়েছে। বিপরীতে প্রবীণ আইনজীবী ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বাধীন জোট মাত্র ৭টি আসনে জয় পেয়েছে।
ড. কামাল হোসেন এই ফলাফল প্রত্যাখ্যান করে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নতুন করে নির্বাচন দাবি করেছেন।
তবে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কেএম নূরুল হুদা নতুন করে নির্বাচনের দাবি নাকচ করে ওও জানিয়েছেন, ভোটে বড় ধরনের কোনো নিয়ম হয়নি।