সংসদে যাওয়ার প্রশ্নই ওঠে না: ফখরুল
জাতির উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বক্তব্য ‘প্রতারণামূলক’ অভিহিত করে তা প্রত্যাখান করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এর প্রতিক্রিয়ায় মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেন, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মানুষের মতামতের প্রতিফলন ঘটেনি। আওয়ামী লীগ একটা ভয়াবহ রকমের নজিরবিহীন ভোট ডাকাতি করেছে তা ইতিপূর্বে বাংলাদেশ কখনো দেখেনি।
তিনি বলেন, ভোটের মাধ্যমে তারা ক্ষমতা আবার দখল করে নিয়েছেন, আবার এসেছেন, এসে তারা দেশ পরিচালনা করবেন এবং বলছেন বিরোধী দলকে পার্লামেন্টে যাওয়ার জন্যে। আমি মনে করি, এটা আরো একটা প্রতারণা জনগণের সঙ্গে করা হচ্ছে, বোকা বানানোর চেষ্টা করা হচ্ছে মানুষকে।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, আমরা আগেই বলেছি, ফলাফল প্রত্যাখান করেছি। এই মুহূর্তে সংসদ যাওয়া বা শপথ নেওয়ার প্রশ্নই উঠতে পারে না। আমরা বলেছি যে, এ নির্বাচন বাতিল করেন, আবার নতুন নির্বাচন দেন। নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন দিয়ে সুষ্ঠু নির্বাচন করেন, গ্রহণযোগ্য নির্বাচন দেন। সবাই অংশগ্রহণ করবে। তারপরে যে ফলাফল আসবে সেই ফলাফলের ভিত্তিতে সংসদ এবং সরকার গঠন হবে। আমরা তো আগেই বলে দিয়েছি। নতুন করে বলার কিছু নেই।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী তার বক্তব্যে যে ব্যাখা দিয়েছেন- সেই ব্যাখ্যাই প্রমাণ করে যে তারা আসলে কোনো বিজয় অর্জন করেনি, জনগণের ভোটকে ডাকাতি করে নিয়ে ক্ষমতা দখল করে বসেছেন। প্রথম তার (প্রধানমন্ত্রী) ব্যাখ্যাটা সেটাই প্রমাণ করে।
তিনি বলেন, সঠিক ভোটে জিতলে কোনো ব্যাখ্যা দেয়ার প্রয়োজন হয় না। ইতোমধ্যে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পত্র-পত্রিকা, মিডিয়া এবং বিভিন্ন দেশগুলো বক্তব্যের মধ্যে এসেছে যে, এই নির্বাচন কখনোই গ্রহণযোগ্য নির্বাচন হয়নি এবং এখানে মানুষের মতামতের প্রতিফলন হয়নি।
জাতির উদ্দেশে দেয়া ভাষণে প্রধানমন্ত্রী বলেন, একাদশ সংসদে বিরোধীদলের সদস্য সংখ্যা নিতান্তই কম। তবে, সংখ্যা দিয়ে আমরা তাদের বিবেচনা করব না। সংখ্যা যত কমই হোক, সংসদে যেকোন সদস্যের ন্যায্য ও যৌক্তিক প্রস্তাব/আলোচনা/সমালোচনার যথাযথ মূল্যায়ন করা হবে। আমি বিরোধীদলের নির্বাচিত সদস্যদের শপথ নিয়ে সংসদে যোগদানের আহবান জানাচ্ছি।