সবচেয়ে মারাত্মক রেডিয়েশন শাওমির ফোনে
সবসময় সবাই স্মার্ট ফোন হাতে নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে, এটা এখন একটা স্বাভাবিক দৃশ্য। অফিস, স্কুল, যানবাহন সবখানেই স্মার্টফোন ব্যবহৃত হচ্ছে। কিন্তু স্মার্টফোনের সঙ্গে সঙ্গে থাকছে মারাত্মক রেডিয়েশনও।
সম্প্রতি ‘দ্য জার্মান ফেডারাল অফিস অব রেডিয়েশন প্রোটেকশন’ নামের একটি সংস্থা ফোনগুলির রেডিয়েশনের পরিমাণ জানিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।
রিপোর্টে দেখা যাচ্ছে, শাওমির এমআই এ১-এ রেডিয়েশন সবচেয়ে বেশি। এর পরিমাণ ১.৭৫ ওয়াট প্রতি কিলোগ্রাম। অথচ বিশ্ব জুড়ে ফোনের ব্যবহারযোগ্য বা নিরাপদ অ্যাবজর্ভশন রেট ০.৬ ওয়াট প্রতি কিলোগ্রাম।
২০১৮ সালের ১০ ডিসেম্বরের মধ্যে অ্যাপল, ব্ল্যাকবেরি, গুগল, এইটিসি, হুয়াওয়েই, এলজি, মোটোরোলা, ওয়ান প্লাস, স্যামসাং, সনি, শাওমি, জেডটিই- ফোনগুলির মধ্যে সমীক্ষা চালায় এই সংস্থা।
চীনের ওয়ান প্লাস ৫টি’র রেডিয়েশনের পরিমাণ ১.৬৮ ওয়াট প্রতি কিলোগ্রাম, শাওমি এমআই ম্যাক্স ৩-র ক্ষেত্রে রেডিয়েশনের পরিমাণ ১.৭৫ ওয়াট প্রতি কিলোগ্রাম। শাওমি ও ওয়ান প্লাসের ফোনগুলির রেডিয়েশনের পরিমাণ এই তালিকা অনুযায়ী সবচেয়ে বেশি।
এরপর রয়েছে ওয়ান প্লাস ৬টি ও এইচটিসি ইউ১২ লাইফ। এই ফোনের ক্ষেত্রে রেডিয়েশনের পরিমাণ ১.৫৫ ও ১.৪৮ ওয়াট প্রতি কিলোগ্রাম।
এরপরই তালিকায় রয়েছে শাওমি এমআই মিক্স৩ ও গুগল পিক্সল ৩-এক্স এল। এই ফোনের ক্ষেত্রে রেডিয়েশনের পরিমাণ ১.৪৫ ও ১.৩৯ ওয়াট প্রতি কিলোগ্রাম।
ওয়ান প্লাস ৫ ও আই ফোন ৭-এর ক্ষেত্রেও রেডিয়েশনের পরিমাণ মারাত্মক। এই ফোনগুলির ক্ষেত্রে রেডিয়েশনের পরিমাণ ১.৩৯ ও ১.৩৮ ওয়াট প্রতি কিলোগ্রাম।
এরপর রয়েছে সনি এক্সপেরিয়া এক্স জেড১ কমপ্যাক্ট ও এইচটিসি ডিসায়ার ১২/১২+ এর ক্ষেত্রে রেডিয়েশনের পরিমাণ ১.৩৬ ও ১.৩৪ ওয়াট প্রতি কিলোগ্রাম।
গুগল পিক্সল ৩ ও ওয়ান প্লাস ৬-এর ক্ষেত্রে রেডিয়েশনের পরিমাণ একই। ১.৩৩ ওয়াট প্রতি কিলোগ্রাম।
আইফোন ৮-এর ক্ষেত্রে রেডিয়েশনের পরিমাণ ১.৩২ ওয়াট প্রতি কিলোগ্রাম।
শাওমি রেডমি নোট ৫-এর ক্ষেত্রে রেডিয়েশনের পরিমাণ ১.২৯ ওয়াট প্রতি কিলোগ্রাম। জেডটিই অ্যাক্সন ৭ মিনির ক্ষেত্রেও রেডিয়েশনের পরিমাণ একই।
তবে স্যামসাং নোট ৮, এ৮ বা স্যামসাংয়ের অন্য স্যামসাং ফোনের ক্ষেত্রে রেডিয়েশন যথাক্রমে ০.১৭, ০.২৪, ০.২৬, ০.২৯, অর্থাৎ যথেষ্ট নিরাপদ বলেই উল্লেখ করেছে এই সংস্থা।