সবার দৃষ্টি এখন ঢাকা-১৭ আসনে
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সবার দৃষ্টি এখন ঢাকা-১৭ আসনের দিকে।কারণ এই আসনে লড়ছেন মহাজোটের দুই প্রার্থী জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ (লাঙ্গল) ও আওয়ামী লীগ থেকে মনোনিত চিত্রনায়ক আকবর হোসেন পাঠান ফারুক। একই আসনে ২০ দলীয় জোটের প্রার্থী হিসেবে ধানের শীষ নিয়ে হাজির হয়েছেন বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির (বিজেপি) আন্দালিব রহমান পার্থ।
এদিকে ওই আসনে লড়বেন তৃণমূল বিএনপির সভাপতি ও বিএনপির সাবেক মন্ত্রী ব্যারিস্টার নাজমুল হুদা।
তবে এই আসনে মনোনয়ন প্রত্যাহার করলেন বিকল্পধারার প্রার্থী মাহী বি. চৌধুরী। রোববার ঢাকায় সেগুনবাগিচায় রিটার্নিং অফিসারের কার্যালয়ে তিনি এ আসন থেকে প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেন। তবে তিনি মুন্সিগঞ্জ-১ আসনে মহাজোটের প্রার্থী হিসেবে নৌকা প্রতীকে নির্বাচন করবেন।
এই আসনটিকে অনেক গুরুত্বপূর্ণভাবে দেখা হচ্ছে। কারণ এই আসনে আসন্ন নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন সব ভিআইপি রাজনীতিবিদরা। তাই এই আসনকে ঘিরে উত্তেজনা বিরাজ করছে সাধারণ মানুষের মনে।
আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোটে ২৯ আসন পেয়েছে জাতীয় পার্টি। অপরদিকে জাতীয় পার্টি ১৩২ আসনে দলীয়ভাবে প্রার্থী দিয়েছে। এতে ঢাকা-১৭ আসনে এইচ এম এরশাদকে প্রার্থী করা হয়েছে।
রোববার ঢাকা জেলা বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ে লাঙ্গল প্রতীক চেয়ে চিঠি পাঠিয়েছেন এরশাদ। ২০০৮ সালে ঢাকা-১৭ আসনে মহাজোটের প্রার্থী হয়ে জয়লাভ করেছিলেন এরশাদ। তবে ২০১৪ সালের নির্বাচনে এরশাদ ঢাকার এ আসনে মনোনয়নপত্র জমা দিলেও পরে তা প্রত্যাহার করেন। তিনি সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন রংপুরের একটি আসন থেকে। ঢাকা-১৭ আসনে মহাজোটের প্রার্থী আবুল কালাম আজাদ এমপি ছিলেন।
ভোলায় ধানের শীষে নির্বাচন করা বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির (বিজেপি) আন্দালিব রহমান পার্থ এবারই প্রথম থাকছেন এই আসনে। শনিবার বিকেলে তাকে এ আসনে মনোনয়ন দেয়া হয়।
নানা জল্পনা-কল্পনার পর এই আসনে আরও লড়ছেন দুদকের মামলায় চার বছরের দণ্ডপ্রাপ্ত তৃণমূল বিএনপির সভাপতি ও বিএনপির সাবেক মন্ত্রী ব্যারিস্টার নাজমুল হুদা।
প্রথমে তার মনোনয়নপত্র অবৈধ ঘোষণা করা হয়। বাতিল হওয়া মনোনয়নপত্রের আপিল নিষ্পত্তির শেষ দিনে শনিবার শুনানি শেষে তার মনোনয়ন বৈধ ঘোষণা করা হয়।