সম্পদ বেড়েছে প্রতিমন্ত্রী পলক দম্পতির
আয় ও সম্পদের পরিমান বেড়েছে বর্তমান মহাজোট সরকারের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক দম্পতির। তিনি নাটোর-৩ আসনের এমপি। আসন্ন সংসদ নির্বাচনেও তিনি একই আসনে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোটের প্রার্থী। জমা দেয়া নির্বাচনী হলফনামা থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।
ওই হলফনামায় তিনি আরও উল্লেখ করেছেন, তার কৃষি জমি ও ভাড়া দেয়া কোন কিছুর মূল্য বৃদ্ধি পায়নি। তবে তার ও স্ত্রীর অর্থ বৃদ্ধি পেয়ছে।
পলকের আয়ের উৎস হিসেবে উল্লেখ করেছেন— কৃষিখাতে ৪৮ হাজার টাকা বাৎসরিক আয় তার। বাড়ি/এপার্টমেন্ট/দোকান বা অন্যান্য ভাড়া বাবদ আয় হয় ৬০ হাজার টাকা। প্রতিমন্ত্রী হিসেবে সম্মানী পান ১১ লাখ ৪ হাজার টাকা। ব্যাংক ইন্টারেস্ট ও টকশো থেকে তার বাৎসরিক আয় ৬ লাখ ৩০ হাজার ৪৯ টাকা।
অবশ্য বিগত নির্বাচনে জমা দেয়া পলকের হলফনামায় আয়ের আরও কিছু উৎস যুক্ত ছিলো। যা একাদশ জাতীয় নির্বাচন উপলক্ষে জমা দেয়া হলফনামায় নেই।
বিগত হলফনামায় উল্লেখ রয়েছে, ব্যবসা থেকে তার বাৎসরিক আয় ১ লাখ টাকা। শেয়ার, সঞ্চয়পত্র ও ব্যাংক আমানত ছিলো ১ লাখ ৬৩ হাজার ২৫২ টাকা। পেশা (শিক্ষকতা, চিকিৎসক, আইন, পরামর্শক) থেকে বাৎসরিক আয় ছিলো ১৪ লাখ ১৭ হাজার ৫০০ টাকা।
অস্থাবর সম্পদের মধ্যে তার নিজের নগদ টাকা আছে ৯ লাখ ১৭ হাজার ২৪৩ টাকা। ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে জমা অর্থের পরিমাণ ৬২ লাখ ২৭ হাজার ৬৬৯ টাকা। বর্তমানে কোনো কোম্পানির শেয়ার কেনা নেই তার। তবে বিগত নির্বাচনে হলফনামায় তার শেয়ার কেনা ছিলো ৬ লাখ ৯৯ হাজার টাকা।
পলকের সঞ্চয়পত্রে বা স্থায়ী আমানতে বিনিয়োগ ৭০ লাখ ৩৯ হাজার ৪৮০ টাকা। নিজেদের ব্যবহৃত ১টি গাড়ির মূল্য দেখিয়েছেন ৭০ লাখ টাকা। ২ ভরি সোনা, যার মূল্য দেখিয়েছেন ১৪ হাজার টাকা। আর ৩৯ ভরি স্বর্ণের দাম জানেন না বলে উল্লেখ করেছেন।
তার আসবাবপত্র রয়েছে ২০ হাজার টাকার। ইলেকট্রনিক সামগ্রী রয়েছে ১ লাখ ২ হাজার টাকার। বৈদেশিক মুদ্রা রয়েছে ইউ এস ডলার ৭ হাজার ৬০০ টাকা, ভারতীয় রূপী ৪ হাজার ৪৫০ টাকা ও রিংগিত ৩ হাজার ৫০০ টাকা। এছাড়া ২ লাখ ৯০ হাজার টাকা মূল্যে একটি শটগান ও পিস্তল রয়েছে বলেও উল্লেখ করা হয়েছে হলফনামায়।
পলকের স্থাবর সম্পদের মধ্যে রয়েছে, কৃষি জমি ৭ বিঘা ২ শতাংশ, যার মূল্য ৩ লাখ ৯৮ হাজার টাকা। পূর্বাচলে রাজউকের ১০ কাঠা প্লট, যার মূল্য ৩৫ লাখ টাকা। ৪ শতাংশ জমির উপর দোতলা পৈত্রিক বাড়ি যার নীচ তলায় ৪টি দোকান ও ১টি গোডাউন রয়েছে, যার মূল্য ১৫ লাখ টাকা।
বিগত হলফনামায় উল্লেখ করেছেন দোতলা বাড়ি যার নীচ তলায় ৪টি দোকান, যার মূল্য ১ লাখ ২০ হাজার টাকা।
এদিকে পলকের উপর নির্ভরশীলদের আয়ের উৎসের স্থানে উল্লেখ করেছেন কৃষিখাতে ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা বাৎসরিক আয়। বাড়ি/এপার্টমেন্ট/দোকান বা অন্যান্য ভাড়া বাবদ আয় হয় ৪৫ হাজার টাকা। চাকরি থেকে আয় ২ লাখ ৬৯ হাজার ৫০০ টাকা। অন্যান্য আয় ৮ লাখ ৬ হাজার ৯২৩ টাকা।
পলকের স্ত্রীর নগদ অর্থ রয়েছে ৬ লাখ ৭৯ হাজার ৫৬০ টাকা। ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে জমাকৃত অর্থের পরিমাণ ৩১ লাখ ৩৭ হাজার ৪৩২ টাকা। যা বিগত হলফনামায় উল্লেখ ছিলো ৩ লাখ ৮০ হাজার টাকার বেশি। স্থায়ী আমানতে বিনিয়োগ ৬৮ লাখ ৩৫ হাজার ৭৯৬ টাকা। ৪৫ লাখ টাকার একটি গাড়ি। সোনা রয়েছে ৬৯ ভরি, যার মূল্য জানেন না বলে উল্লেখ করেছেন।
পলকের স্ত্রীর স্থাবর সম্পদের বিষয়ে উল্লেখ করেছেন, কৃষি জমি ৮ দশমিক ৭১০ একর, যার মূল্য ২৫ লাখ ৬৫ হাজার টাকা। বিগত হলফনামায় উল্লেখ ছিলো ৬ দশমিক ৬২ একর, যার মূল্য ছিলো ২০ লাখ ৫০ হাজার টাকা। অকৃষি জমি ১ দশমিক ২৯ একর, যার মূল্য ৫ লাখ টাকা। বিগত হলফনামায় উল্লেখ ছিলো ১ একর অকৃষি জমি দানকৃত, যার মূল্য জানা ছিলো না।
শেওড়াপাড়ায় ২টি দোকান, যার মূল্য ৩৬ লাখ টাকা। স্বামীর বাড়িতে বিনিয়োগ ৫০ লাখ টাকা।
বিগত হলফনামায় শেওড়াপাড়ায় ২টি দোকান এবং স্বামীর বাড়িতে বিনিয়োগের উল্লেখ ছিলো না