রাজধানীর নয়াপল্টন কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে সংঘর্ষের ঘটনায় দায়ের মামলায় বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট নিপুণ রায় চৌধুরী ও আরিফা সুলতানা রুমার জামিন এবং রিমান্ডের আবেদন নামঞ্জুর করেছেন আদালত। একইসঙ্গে ১০ কার্যদিবসের মধ্যে একদিন জেলগেটে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করার আদেশ দেয়া হয়েছে।
সোমবার দুপুরে শুনানি শেষে ঢাকার মহানগর হাকিম মো. তোফাজ্জেল হোসেন এ আদেশ দেন। ফলে নিপুণ রায় সহসা মুক্তি পাচ্ছেন না বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা।
এদিন মামলাটির তদন্ত কর্মকর্তা আসামিদের আদালতে হাজির করে মামলার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। আর আসামিপক্ষের আইনজীবী সানাউল্লা মিয়া ও নিপুণ রায়ের বাবা অ্যাডভোকট নিতাই রায় চৌধুরী রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিনের আবেদন করেন।
উভয়পক্ষের শুনানি শেষে বিচারক রিমান্ড আবেদন ও জামিন নাকচ করেন।
এদিন আদালতে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে ১৬ নভেম্বর পল্টন থানার দায়ের করা আরেক মামলায় বিএনপি নেতা নিপুণ রায় চৌধুরীসহ ৭ জনের রিমান্ডে আবেদন মঞ্জুর করেছিলেন আদালত।
গত ১৫ নভেম্বর সন্ধ্যায় দলের নয়াপল্টন কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে সংবাদ সম্মেলন শেষে ফিরছিলেন নিপুণ রায় চৌধুরী। নাইটিঙ্গেল মোড় থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। একইসময় বিএনপির সহ-আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ও কণ্ঠশিল্পী বেবী নাজনীনকেও আটক করা হয়।
পরে অবশ্য পুলিশ বেবী নাজনীনকে ছেড়ে দেয়। নিপুণ রায় চৌধুরী বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের পুত্রবধূ ও বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট নিতাই রায় চৌধুরীর মেয়ে।