সারা দেশে নির্বাচনী প্রচারাভিযান জোরেসোরে চলছে। সমান তালে প্রচারাভিযান চালিয়ে যাচ্ছেন নৌকা ও ধানের শীষ মার্কার প্রার্থীরা। তবে প্রচারাভিযানে নৌকার প্রার্থীরা সুবিধাজনক অবস্থানে থাকলেও নানা প্রতিকূলতার অভিযোগ ধানের শীষ প্রার্থীদের।
চট্টগ্রাম-৯ নির্বাচনী এলাকায় ধানের শীষের প্রার্থী চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সভাপতি কারান্তরীণ ডা: শাহাদাত হোসেনের নির্বাচনী প্রচারণায় বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল নোমানের নেতৃত্বে গণসংযোগ করা হয়। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে কাজীর দেউরী কাঁচাবাজার চত্বরে চট্টগ্রাম-৯ সংসদীয় আসনের ধানের শীষের প্রার্থী ডা: শাহাদাত হোসেনের সর্মথনে প্রচারণার সময় পথসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, কারাবন্ধী ডা: শাহাদাত হোসেনের নির্বাচনী প্রচারণায় গণজোয়ার সৃষ্টি হয়েছে। ডা: শাহাদাত একজন পরিচ্ছন্ন রাজনীতিবিদ, সজ্জন ব্যক্তি, দীর্ঘ সময় ধরে এ এলাকার জনসাধারণের সুখে-দুঃখে ছিলেন। বিনা কারণে মিথ্যা গায়েবি মামলা দিয়ে কারাগারে বন্দী করে রেখেছে। তিনি বলেন, দেশের মানুষের গণতন্ত্র, স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব নষ্ট করে আওয়ামী সরকার দেশে একদলীয় স্বৈরচারী সরকারে পরিণত হয়েছে। তাই আজ হারানো গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে বিএনপি, জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট ও ২৩ দলীয় জোট একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য আন্দোলনের অংশ হিসেবে নির্বাচনে এসেছে। কিন্তু নির্বাচন কমিশন যে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ডের কথা বলেছিল তার বিন্দু পরিমাণ বাস্তবায়ন এখনো হয়নি।
প্রধান বক্তার বক্তব্যে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল নোমান বলেন, ডা: শাহাদাত হোসেন কারাবন্দী থাকলেও তার হাজার হাজার কর্মীবাহিনী মাঠে আছেন। শত জুলুম নির্যাতন উপেক্ষা করে আগামী ৩০ ডিসেম্বর ভোটকেন্দ্র পাহারা দিতে হবে। এখন থেকে বিএনপি, যুবদল, ছাত্রদল নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। যেকোনো কিছুর বিনিময়ে ধানের শীষের প্রার্থীকে জয়ী করতে হবে। চট্টগ্রাম-৯ নির্বাচনী এলাকায় ধানের শীষের পক্ষে গণজোয়ার সৃষ্টি হয়েছে। এ দেশের আপামর জনগণ ধানের শীষের পক্ষে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করার লক্ষ্যে ও কারাবন্দী ডা: শাহাদাত হোসেনকে বিজয়ী করে কারামুক্ত করার শপথ নিতে হবে।
চট্টগ্রাম-৯ সংসদীয় আসনের প্রার্থী ডা: শাহাদাত হোসেনের নির্বাচন পরিচালনার প্রধান সমন্বয়ক অ্যাডভোকেট বদরুল আনোয়ার বলেন, বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে এবং এ দেশের গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে কারাবন্দী ডা: শাহাদাত হোসেনকে ধানের শীষ মার্কায় জয়যুক্ত করতে হবে। অ্যাডভোকেট বদরুল আনোয়ারের সভাপতিত্বে পথসভায় আরো উপস্থিত ছিলেন, চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক ও চট্টগ্রাম-৯ সংসদীয় আসনের নির্বাচনী পরিচালনা কমিটির সদস্যসচিব এস এম সাইফুল আলম, কে এম ফেরদৌস, নগর বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক ইয়াছিন চৌধুরী লিটন, আব্দুল মান্নান, আব্দুল ওয়াহাব কাশেমী, ডা: সারওয়ার, মনোয়ার বেগম মনি, ফাতেমা বাদশা, জেলি চৌধুরী, কে এম আনিসুর রহমান, জিয়া উদ্দিন খালেদ, শহিদুল ইসলাম, আবুল খায়ের মেম্বার, রফিক সরদার, সফিকুল ইসলাম খোকন, আ খ ম জাহাঙ্গীর আলম, জসিম উদ্দিন চৌধুরী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও চট্টগ্রাম-১০ আসনে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী আবদুল্লাহ আল নোমান বলেছেন, সরকার আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে ব্যবহার করে নির্বাচনকে প্রহসনে পরিণত করে ক্ষমতাকে কুক্ষিগত করার ষড়যন্ত্র করছে, কিন্তু তাতে কোনো লাভ হবে না। ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনে জনগণের কৌশলের কাছে সরকারের অপকৌশল বুমেরাং হয়ে যাবে।
গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে চট্টগ্রাম-১০ আসনের শুলকবহর ওয়ার্ডে গণসংযোগ শুরু করার প্রাক্কালে আবদুল হামিদ সড়কে অনুষ্ঠিত নির্বাচনী সমাবেশে সমবেত এলাকাবাসী ও বিএনপি নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তিনি এ কথা বলেন।
আবদুল্লাহ আল নোমান বলেন, সারা দেশে ধানের শীষের যে গণজোয়ার শুরু হয়েছে এই জোয়ার রুখে দেয়ার সাধ্য সরকারের নেই। দেশের মানুষ গণতন্ত্র ও ভোটাধিকার পুনরুদ্ধার করার জন্য ৩০ ডিসেম্বর তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবে। জনগণ আমাদের সাথে আছে তাই এই নির্বাচনী যুদ্ধে আমরা জয়লাভ করব ইনশাআল্লাহ।
মহানগর বিএনপির সহসভাপতি আশরাফ উদ্দিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বিএনপি নেতা এ এম নাজিম উদ্দিন, কাজী আকবর, কাজী বেলাল, মোশারফ হোসেন দিপ্তী, আহমেদুল আলম রাসেল, কাজী শামসুল আলম, হাসান ওসমান, শেখ রাসেল নেজাম উদ্দিন, শহীদুল আলম খসরু, মোহাম্মদ আজাদ, সাইফুল ইসলাম, সাইদুল ইসলাম বেলাল, মহসীন কবির, দেলোয়ার হোসেন, মোহাম্মদ সাদেক প্রমুখ
সমাবেশ শেষে আবদুল্লাহ আল নোমান শুল্কবহর ওয়ার্ডের আবদুল লতিফ সড়ক, মির্জাপুল, নিজ শহর, শেখ বাহারুল্লাহ লেন এলাকায় ব্যাপক গণসংযোগ করেন। গণসংযোগকালে তিনি এলাকাবাসীর সাথে কথা বলেন, ধানের শীষে ভোট প্রার্থনা করেন এবং ৩০ ডিসেম্বর সব ভয়ভীতি উপেক্ষা করে ভোটকেন্দ্রে উপস্থিত হওয়ার জন্য সবার প্রতি আহ্বান জানান।
বিএনপি ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট মনোনীত বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য এবং ফ্রন্টের স্টিয়ারিং কমিটির অন্যতম নেতা ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, আপসহীন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করার লক্ষ্যে সারা দেশে বিএনপি ও ঐক্যফ্রন্ট মনোনীত প্রার্থীদের বিজয়ী করতে হবে। কুমিল্লা-১ (দাউদকান্দি-মেঘনা) ও কুমিল্লা-২ (হোমনা-তিতাস) আসনে হেভিওয়েট প্রার্থী ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন গতকাল বৃহস্পতিবার হোমনার ঘারমোড়া এ কে এম ফজলুল হক মোল্লা মাধ্যমিক স্কুলমাঠে আয়োজিত এক বিরাট সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখতে গিয়ে এ কথা বলেন। ড. মোশাররফ আরো বলেন, ভোটের অধিকার পুনঃপ্রতিষ্ঠা, গণতন্ত্র উদ্ধার ও স্বৈরাচার পতনের লক্ষ্যে ধানের শীষ প্রতীকে ভোট দিতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে। তিনি বলেন, দুর্বৃত্তরা যাতে ভোট চুরি ও ডাকাতির সুযোগ না পায় ভোটের আগে থেকে গণনা পর্যন্ত সব কর্মী,-সমর্থক ও শুভাকাক্সক্ষী অতন্দ্র প্রহরীর মতো পাড়া-মহল্লা ও ভোটকেন্দ্র পাহারা দিতে উদাত্ত আহ্বান জানান। ভোট শুরুর আগেই প্রতিটি ব্যালট বাক্স খালি রয়েছে কি না তাও তদারকির জন্য নেতাকর্মী ও সংশ্লিষ্টদের প্রতি পরামর্শ রাখেন এই নেতা। ড. মোশাররফ আবেগ জড়িত কণ্ঠে বলেন, ১৯৭৯ সাল থেকে এই আসনে বিএনপি কখনো পরাজিত হয়নি, এবারের নির্বাচনে আবারো আসনটি উপহার দিয়ে এম কে আনোয়ারের আত্মাকে শান্তি দিতে ভোটারদের প্রতি অনুরোধ করেন। ঘারমোড়া ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আব্দুল বাতেন সরকারের সভাপতিত্বে সমাবেশে আরো বক্তব্য রাখেন, দলের নির্বাহী কমিটির সদস্য ও উপজেলা সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মাহফুজুল ইসলাম, দলের কুমিল্লা উত্তর জেলা সহসভাপতি এ কে এম ফজলুল হক মোল্লা, সাধারণ সম্পাদক আক্তারুজ্জামান সরকার, উপজেলা সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আজিজুর রহমান মোল্লা, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান জহিরুল হক জহর, ঘারমোড়া ইউপি চেয়ারম্যান ও উপজেলা যুবদলের সিনিয়র সহসভাপতি শাহজাহান মোল্লা, পৌর বিএনপির সভাপতি মোজাম্মেল হক মুকুল ও উপজেলা ছাত্রদলের সভাপতি অহিদুজ্জামান মোল্লা প্রমুখ। পরে নেতাকর্মীদের নিয়ে ড. মোশাররফ জয়পুর, ভাষানিয়া ও ঘারমোড়া ইউনিয়নে দিনভর গণসংযোগ ও পথসভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন। এর আগে তিনি দলের স্থানীয় শীর্ষপর্যায়ের নেতাকর্মীদের নিয়ে এম কে আনোয়ারের কবর জেয়ারত ও মুনাজাতে শরিক হন।
ঐক্যজোটের নির্বাচনী সভা
এ দিকে মেঘনা উপজেলার সাতানি আশরাফুল উলুম মাদরাসা মিলনায়তনে কুমিল্লা-১ (দাউদকান্দি- মেঘনা) আসনে ইসলামি ঐক্যজোট মনোনীত প্রার্থী মাওলানা আলতাফ হোসাইন প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন। মিনার প্রতীকে তাকে ভোট দিয়ে এই এলাকায় ইনসাফভিত্তিক উন্নয়ন ও সব দুর্নীতি বন্ধে বিজয়ী করার আহ্বান জানান।
জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা, জাসদ সভাপতি আ স ম আব্দুর রব বলেছেন, গত ১০ বছরে সিলেটে যেমন উন্নয়ন হয়নি। সারা দেশেও তেমনি উন্নয়ন হয়নি, যা হয়েছে, তা শুধুই লুটপাট। মহাজোট সরকারের অর্থমন্ত্রীর ব্যর্থতায় দেশের অর্থনীতি আজ পর্যুদস্ত। গত ১০ বছরে ব্যাংক খাত থেকে সাড়ে ২২ হাজার কোটি টাকা লুটপাট হয়েছেÑ এটা গবেষণায় প্রমাণিত। অথচ অর্থমন্ত্রী বলেন, রাবিশ। অর্থমন্ত্রী হিসেবে তিনি যেমন ব্যর্থ, সিলেটের জনপ্রতিনিধি হিসেবেও কাক্সিক্ষত উন্নয়ন করতে না পারায় তিনি ব্যর্থ। এ ব্যর্থতা আওয়ামী লীগের। তাই ব্যর্থ আওয়ামী লীগকে আর ক্ষমতায় দেখতে চায় না মানুষ।
বৃহস্পতিবার সকালে ধানের শীষের পক্ষে সিলেট নগরীতে গণসংযোগকালে বন্দরবাজার হকার্স পয়েন্টে অনুষ্ঠিত এক পথসভায় আ স ম আব্দুর রব এসব কথা বলেন। আ স ম রব বলেন, সিলেটের যেদিকেই তাকাই বিএনপি তথা সাইফুর রহমানের আমলের উন্নয়ন চোখে পড়ে। বর্তমান অর্থমন্ত্রীর আমলের উন্নয়ন দেখতে হলে মাইক্রোস্কোপ দিয়ে খুঁজতে হবে।
পথসভায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির শীর্ষ নেতা নজরুল ইসলাম খান বলেন, সিলেটের মানুষ তাদের অনির্বাচিত এমপি মুহিত সাহেবকে দেখেছেন। সিলেটের মানুষের সাথে তার কোনো সম্পর্ক ছিল না। ভোট নিয়ে তিনি ঢাকায় বসেছিলেন। সিলেটে আসেননি। আর এ কারণেই তিনি প্রত্যাখ্যাত হওয়ার ভয়ে ভোট থেকে সরে গেছেন। তার ভাই মোমেনও সারাজীবন সিলেটের বাইরে কাটিয়েছেন। এখন বসন্তের কোকিলের মতো ভোট চাইতে এসেছেন। ভোটের পরে আর তাকে কাছে পাবে না সিলেটবাসী।
তিনি বিএনপি তথা ঐক্যজোট মনোনীত প্রার্থী খন্দকার আব্দুল মুক্তাদিরকে সিলেট-১ (সিটি করপোরেশন-সদর উপজেলা) আসনে বিজয়ী করার আহ্বান জানিয়ে বলেন, বিজয়ী হলে তিনি সব সময় সিলেটের মানুষের পাশে থাকবেন। পথসভায় ফ্রন্টের কেন্দ্রীয় নেতা জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, দেশে আজ গণতন্ত্র নেই। আইনের শাসন নেই। গত ১০ বছরে ২২ হাজার মানুষ রাষ্ট্রীয়ভাবে খুন হয়েছেন। ঐক্যফ্রন্ট ক্ষমতায় গেলে এর বিচার হবে।
এর আগে সকালে নগরীর কুমারপাড়ায় সিটি মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীসহ জেলা ও মহানগর বিএনপি নেতৃবৃন্দকে নিয়ে সিলেট-১ আসনের প্রার্থী খন্দকার আব্দুল মুক্তাদিরের পক্ষে গণসংযোগ করেন। পরে তারা বন্দরবাজার, কোর্টপয়েন্ট হয়ে দক্ষিণ সুরমার বাবনা পয়েন্ট, স্টেশন রোড, ভার্থখলাসহ ২৫, ২৬ ও ২৭ নং ওয়ার্ডে প্রচারপত্র বিলি ও পৃথক পৃথক পথসভায় বক্তব্য রাখেন।
এসব পথসভায় সিলেট-১ আসনে বিএনপি তথা ঐক্যফ্রন্ট মনোনীত প্রার্থী খন্দকার আব্দুল মুক্তাদির ছাড়াও বক্তব্য রাখেন সিলেট সিটি করপোরেশনে মেয়র ও বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা আরিফুল হক চৌধুরী, সিলেট জেলা বিএনপির সভাপতি আবুল কাহের শামীম, মহানগর বিএনপির সভাপতি নাসিম হোসাইন, জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আলী আহমদ, মহানগর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আজমল বক্ত সাদেক, বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রাজ্জাক, সিলেট মহানগর বিএনপির সহসভাপতি রেজাউল হাসান কয়েস লোদী, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আফরোজ মিয়া, বিএনপি নেতা এমরান আহমদ চৌধুরী, সৈয়দ মঈন উদ্দিন সোহেল প্রমুখ।
খুলনা-২ আসনে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট সমর্থিত ও বিএনপি মনোনীত প্রার্থী নজরুল ইসলাম মঞ্জু গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল ৮টায় পূর্ব বানিয়াখামার ডি আলী স্কুলের সামনে থেকে গণসংযোগ শুরু করেন। সেখান থেকে বি কে রায় রোড, চৌধুরী গলি, ব্যাংকার্স গলি ও মতলেবের মোড় এলাকার সব ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান ও বাসাবাড়িতে গিয়ে ভোটারদের সাথে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন এবং তাদের হাতে ধানের শীষের লিফলেট তুলে দেন। এরপর বেলা ১১টা থেকে নগরীর ডাকবাংলা মোড়, সোহরাওয়ার্দী মার্কেট, এস এম এ রব শপিং কমপ্লেক্স, ডাকবাংলা সুপার মার্কেট, রেলওয়ে মার্কেট এলাকায় গণসংযোগ করেন।
গণসংযোগকালে তিনি বলেন, প্রতীক বরাদ্দের পর থেকে গত কয়েক দিনে ধানের শীষের পোস্টার টানানোর সময় বিএনপির নেতাকর্মীদের মারধর করা হচ্ছে এবং পোস্টার ছিঁড়ে ফেলা হচ্ছে। পুলিশ হামলাকারী সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিয়ে উল্টো বিএনপির নেতাকর্মীদের নানাভাবে ভয়ভীতি দেখাচ্ছে। তিনি নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহ্বান জানান। নির্বাচনকে অবাধ, সুষ্ঠু, গ্রহণযোগ্য ও অংশগ্রহণমূলক করার জন্য পরিবেশ সৃষ্টি করতে নির্বাচন কমিশনের প্রতিও আহ্বান জানান তিনি।
এ সময় তার সাথে ছিলেন ঐক্যফ্রন্ট নেতা মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট আ ফ ম মহসিন, বিজেপির অ্যাডভোকেট লতিফুর রহমান লাবু, বিএনপি নেতা জাফরউল্লাহ খান সাচ্চু, জেপি নেতা মোস্তফা কামাল, বিএনপি নেতা জলিল খান কালাম, সিরাজুল ইসলাম, মুসলিম লীগের অ্যাডভোকেট আক্তার জাহান রুকু, বিজেপির সিরাজউদ্দিন সেন্টু, শাহজালাল বাবলু, রেহানা আক্তার, অধ্যাপক আরিফুজ্জামান অপু, মহিবুজ্জামান কচি, মেহেদী হাসান দীপু, শফিকুল আলম তুহিন, আজিজুল হাসান দুলু, ইউসুফ হারুন মজনু প্রমুখ।
অপর দিকে খুলনা-৩ আসনে বিএনপি প্রার্থী রকিবুল ইসলাম বকুল গতকাল সন্ধ্যার পরে বিএনপি, ২০ দলীয় জোট ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতাদের নিয়ে একটি জরুরি সভা করেন।
খুলনা-৪ আসনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী আবদুস সালাম মুর্শেদী গতকাল পোলেরহাট বাজার, বেলেঘাট, সেনহাটি ও সুরমা বাজার এলাকায় গণসংযোগ করেন। এ ছাড়া তিনি সেনহাটি মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের সাথে এবং পুটিমারী বটতলায় হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের সাথে মতবিনিময় করেন।