সিইসির পদত্যাগ দাবি ঐক্যফ্রন্টের

500

প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদার পদত্যাগ দাবি করেছে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট। অবিলম্বে একজন নির্দলীয় নিরপেক্ষ ব্যক্তিকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার হিসেবে নিয়োগ দেওয়ার জন্য রাষ্ট্রপতির কাছে দাবি জানায় তারা।

মঙ্গলবার রাতে ঐক্যফ্রন্টের জরুরী সভা শেষে এ দাবি জানান বিএনপির মহাসচিব ও ঐক্যফ্রন্টের মুখপাত্র মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

মির্জা ফখরুল মঙ্গলবার সিইসির সঙ্গে ঐক্যফ্রন্টের বৈঠকে সিইসির আচরণের সমালোচনা করেন। একই সঙ্গে তিনি বলেন, দেশে নির্বাচন নয়, হোলি খেলা হচ্ছে।সব জায়গায় আমাদের প্রার্থীদের ওপর হামলা করা হচ্ছে। মহিলারাও বাদ যাচ্ছে না।

মির্জা ফখরুল আজ হামলায় আহত বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়কে দেখিয়ে বলেন, এটি হলো ২০১৮ সালের নির্বাচন। রক্তাক্ত সাবেক মন্ত্রী গয়েশ্বর চন্দ্র রায়।

ফখরুল বলেন, আজ গণফোরামের সুব্রত চৌধুরীও আক্রান্ত হয়েছেন। কাউকে বাদ দিচ্ছে না। দেখে মনে হচ্ছে, এটা কোনো নির্বাচন নয়।

বিএনপির মহাসচিব বলেন, নির্বাচন কমিশন ব্যর্থ, অকার্যকর- এটা আজ জাতির সামনে প্রমাণিত হয়েছে। আমরা এই মুহূর্তে সিইসির পদত্যাগ চাই। এখনই চাই তিনি পদত্যাগ করুন।

এরপর জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের মুখপাত্র মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বিবৃতি পড়ে শোনান বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান।

বিবৃতিতে বলা হয়, সারা দেশে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থীদের ওপর হামলা মামলা, নির্যাতনের বিষয়ে অবহিত করতে নির্বাচন কমিশনে গিয়েছিলাম ড. কামাল হোসেন ও মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নেতৃত্বে সিনিয়র নেতারা। কিন্তু আমাদের অভিযোগ শুনে সিইসি নূরুল হুদা সরকার দলীয় নেতার মত আচরণ করেছেন।

এতে আরও বলা হয়, সিইসি ড. কামাল হোসেনসহ ঐক্যফ্রন্ট নেতাদের সঙ্গে যে আচরণ করেছে তা ছিল অত্যন্ত অশোভন। ঐক্যফ্রন্ট নেতারা তাৎক্ষণিক ক্ষোভ জানিয়ে বৈঠক বর্জন করেন।

তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশনের পদত্যাগ দাবি করছি। রাষ্ট্রপতির কাছে আহ্বান করছি যাতে একজন নিরপেক্ষ সরকারকে সিইসি হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়। কারণ এমন মেরুদণ্ডহীন কমিশনের কাছ থেকে সুষ্ঠু নির্বাচন আশা করা যায় না।

নজরুল ইসলাম বলেন, আমরা জনগণকে আহ্বান জানাব জনগণের ঐক্য গড়ে তুলে জনগণের দাবি আদায় করার।

এর আগে বিকালে নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে অনুষ্ঠিত সভা বর্জনের পর জরুরি বৈঠক ডাকে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

আগে দুপুরে নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে চলমান বৈঠক বর্জন করে ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বে বেরিয়ে আসেন ঐক্যফ্রন্ট নেতারা। ওই দুপুরে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সঙ্গে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের বৈঠকে তুমুল উত্তাপ ছড়িয়ে পড়ে। উত্ত্যপ্ত বাক্যবিনিময় হয় দুপক্ষে। একপর্যায়ে সভাশেষ না করেই সংক্ষুব্ধ হয়ে বেরিয়ে যান ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা ড. কামাল হোসেনসহ অন্যরা।

ঐক্যফ্রন্ট নেতাদের অভিযোগ, নির্বাচনী প্রচারে হামলা-বাধা ও পুলিশের ভূমিকা নিয়ে অভিযোগ শুনতে প্রধান নির্বাচন কমিশনার অনীহা প্রকাশ করেন। উপরন্তু তিনি পুলিশের পক্ষে অবস্থান নিয়ে ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতার সঙ্গে ‘অশোভন আচরণ’ করেন। এ কারণে তারা সভা থেকে উঠে আসেন।

Leave A Reply

Your email address will not be published.

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.