সিইসির সাথে বিএনপি প্রার্থীর আঁতাতের অভিযোগ এলজিআরডি মন্ত্রীর

400

এলজিআরডি মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, ‘প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কেএম নুরুল হুদা যখন ফরিদপুরের ডিসি ছিলেন তখন আমার প্রতিপক্ষ ধানের শীষের প্রার্থী চৌধুরী কামাল ইবনে ইউসুফ মন্ত্রী ছিলেন। সিইসির সাথে আমার এই প্রতিপক্ষ প্রার্থীর কোনো না কোনোভাবে আঁতাত রয়েছে। সিইসি আমার টেলিফোন ধরছেন না। আমি একজন তাজা মন্ত্রী। আমার ফোন সিইসি ধরছেন না। আমি ফোন করলে এক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা হয়তো ইতস্তত করতে পারেন। তিনি ছাড়া আর কারো শক্তি নাই আমার টেলিফোন না ধরার। প্রধান নির্বাচন কমিশনার এরকম করতে পারেন না।’

372956_18রোববার দুপুরে ফরিদপুরের গোয়ালচামটে সারদা সুন্দরী স্কুলে এক নির্বাচনী জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেন একথা বলেন। ফরিদপুর পৌরসভার ২ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের উদ্যোগে এ জনসভার আয়োজন করা হয়।

এসময় এলজিআরডি মন্ত্রী তার বক্তব্যে জানান, ‘নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শাহাদাত হোসেন গত পরশু দিন আমাকে ফোন করেছিলেন। এই নির্বাচন কমিশনার আমাকে বলেন, আমার এখানে নাকি কোনো প্রার্থী মাঠে নামতে পারছে না?’

‘কী কও তুমি? তাহলে আমি কিভাবে নামি?’ প্রতি উত্তরে মন্ত্রী একথা বলেন বলে জানান। এসময় নির্বাচন কমিশনার বলেন, ‘না, না, ধানের শীষ নামতে পারে না।’ মন্ত্রী বলেন।

এলজিআরডি মন্ত্রী আরো জানান, এসময় তিনি ওই নির্বাচন কমিশনারকে বলেন, ‘তাহলে তোমরা ডিক্লেয়ার করে দাও কামাল ইবনে ইউসুফ নামলে রাস্তায় কোনো লোক থাকবে না। উনি যা খুশি তা করে বেড়াবে! পারবা এমন বলতে?’
মন্ত্রী বলেন, ‘উনি (কামাল ইবনে ইউসুফ) নামলেই আশপাশে লোকজন শ্লোগান দেয়, উনি লাফ দিয়ে গাড়িতে উঠে।’

তিনি প্রতিপক্ষ চৌধুরী কামাল ইবনে ইউসুফকে লোকজন নিয়ে মাঠে নামার অনুরোধ জানিয়ে বলেন, ‘নির্বাচন করতে হলে প্রস্তুতি নিয়ে মাঠে নামেন। মাঠে যদি আপনি না থাকেন তবে আমাদের নেতাকর্মীরাতো উজ্জীবিত হয় না। কিন্তু উনি (কামাল ইবনে ইউসুফ) একলা একলা মাঠে নেমে কী কারণে উস্কানি দিতেছেন। আজ আমি একটা দলের নেতা। একলা একলা যদি মাঠে নামি তবে আমাকেও যে দু’চারটা ঢিল মারবে না তার কোনো নিশ্চয়তা আছে?’

এসময় এলজিআরডি মন্ত্রী শঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, ‘ঘটনা এমন ঘটছে যে ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনে বিএনপি প্রার্থীকে হয়তো মাঠে পাওয়া যাবে না।’

ফরিদপুর ২ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি মঞ্জুরুল হকের সভাপতিত্বে জনসভায় আরো বক্তব্য দেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট সুবল চন্দ্র সাহা, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ঝর্ণা হাসান, শহর আওয়ামী লীগের সভাপতি নাজমুল হাসান খন্দকার লেভী, সাধারণ সম্পাদক চৌধুরী বরকত ইবনে সালাম প্রমুখ।

ফরিদপুর পৌরসভার মেয়র শেখ মাহতাব আলী মেথুসহ আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ এসময় উপস্থিত ছিলেন। এরপর মন্ত্রী গোয়ালচামটে জোহরা বেগম উচ্চ বিদ্যালয়ে আরো একটি জনসভায় বক্তব্য দেন।

Leave A Reply

Your email address will not be published.

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.