সিটি এলাকার ৬ আসনের সব কেন্দ্রে ইভিএম
সব আপত্তি, মামলার হুমকি উপেক্ষা করে নির্বাচন কমিশন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৩০০ আসনের মধ্যে ৬টিতে পরিপূর্ণভাবে ইলেট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। শনিবার বিকেলে আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে ৪০তম কমিশন বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। পরে নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ সাংবাদিকদের এ বিষয়ে ব্রিফ করেন।
তিনি বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন আজ সিদ্ধান্ত দিয়েছে, ৬টি আসনের সব কেন্দ্রে ইভিএমে ভোটগ্রহণ করা হবে। এক্ষেত্রে শহর ও সিটি করপোরেশন এলাকার ৬টি আসন দৈবচয়ন পদ্ধতিতে নির্ধারণ করা হবে। আগামী ২৮ নভেম্বর দৈবচয়নের ভিত্তিতে আসনগুলো ঠিক করবে কমিশন।’
সব আপত্তি, মামলার হুমকি উপেক্ষা করে নির্বাচন কমিশন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৩০০ আসনের মধ্যে ৬টিতে পরিপূর্ণভাবে ইলেট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
তিনি বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন আজ সিদ্ধান্ত দিয়েছে, ৬টি আসনের সব কেন্দ্রে ইভিএমে ভোটগ্রহণ করা হবে। এক্ষেত্রে শহর ও সিটি করপোরেশন এলাকার ৬টি আসন দৈবচয়ন পদ্ধতিতে নির্ধারণ করা হবে। আগামী ২৮ নভেম্বর দৈবচয়নের ভিত্তিতে আসনগুলো ঠিক করবে কমিশন।’
হেলালুদ্দীন আহমদ বলেন, ‘রোববার থেকে আমরা সেনাবাহিনীর সিগন্যাল কোরের সদস্যদের তিন দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ দেব। তাদের সঙ্গে আমাদের আইসিটি শাখার কর্মকর্তারা আবার বিভাগীয় পর্যায়ে ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ দেবে। ইভিএম যৌথভাবে সেনাবাহিনী এবং ইসি কর্মকর্তারা পরিচালনা করবে।’
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘একটি ইভিএম মেশিনে সহকারী প্রিজাইডিং কর্মকর্তা তার আঙুলের ছাপ দিয়ে ২৫ শতাংশ ব্যালট পেপার ইভিএমের ব্যালট ইউনিটে ওপেন করতে পারবেন। কোনো ভোটারের আঙুলের ছাপ যদি কাজ না করে, সেক্ষেত্রে প্রিজাডিং কর্মকর্তা তার নিজের আঙুলের ছাপ দিয়ে সংশ্লিষ্ট ভোটারের ব্যালট পেপারটি চালু করবেন। এভাবে ২৫ শতাংশ ভোটারের ব্যালট ওপেন করতে পারবেন তিনি।’
ইসি সচিব বলেন, ‘মানুষ আগের চেয়ে অনেক শিক্ষিত হয়েছে। এছাড়া আমরা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আগে ব্যবহার করে সুফল পেয়েছি। তাই ইভিএম ব্যবহারের কোনো সমস্যা হবে না।’
স্থানীয় নির্বাচনে এক দশক আগে ইভিএম ব্যবহার শুরু হলেও জাতীয় নির্বাচনে এবারই প্রথম তা ব্যবহার হতে যাচ্ছে। এজন্য আইন সংশোধন করতে হয় তড়িঘড়ি করে। সংসদে পাসের মতো সময় না পেয়ে শেষে রাষ্ট্রপতির মাধ্যমে অধ্যাদেশ জারি করে তা কার্যকর করতে হয়।
ইসির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, মোট ৪০ হাজারটির মধ্যে ৯০০টির মতো কেন্দ্রে ইভিএমে ভোট গ্রহণ হবে, অর্থাৎ সেগুলোতে কোনো ব্যালট পেপার থাকবে না।
বিএনপি, জাতীয় পার্টিসহ অধিকাংশ দলের বিরোধিতার মধ্যেই একাদশ সংসদ নির্বাচনে ইভিএমে ভোটগ্রহণের সিদ্ধান্ত নেয় নির্বাচন কমিশন।
তফসিল ঘোষণার সময় সিইসি কেএম নূরুল হুদা বলেছিলেন, শহরাঞ্চলে ‘অল্প’ কয়েকটি কেন্দ্রে ইভিএম বা ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন ব্যবহার হবে।
গতকাল শুক্রবার এক অনুষ্ঠানেও তিনি বলেন, ‘আমরা ইভিএম পরীক্ষামূলকভাবে ব্যবহার করব। একেবারে সীমিত আকারে ব্যবহার করতে হবে। অথবা কয়েকটি আসনের কিছু সংখ্যক কেন্দ্রে ইভিএম ব্যবহার হবে।’
তবে শনিবারের ঘোষণায় দেখা যাচ্ছে, দৃশ্যত বড় পরিসরেই ইভিএম ব্যবহারের সিদ্ধান্ত নিল নির্বাচন কমিশন।
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ইভিএমের পক্ষে অবস্থান নিলেও দলটি জানায়, নির্বাচন কমিশন ইভিএম ব্যবহার না করলেও তারা কোনো আপত্তি জানাবে না।
তবে বিএনপি, ঐক্যফ্রন্ট, জাতীয় পার্টিসহ রাজনৈতিক দলগুলো ইভিএমের ঘোর বিরোধিতা করে আসছে। আপত্তি না শুনলে ঐক্যফ্রন্ট নেতা ও জেএসডি সভাপতি আ স ম আব্দুর রব মামলারও হুমকি দেন।
তফসিল অনুসারে, আগামী ৩০ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। ২৮ নভেম্বর মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিন। ২ ডিসেম্বর মনোনয়নপত্র বাছাই, প্রার্থিতা প্রত্যাহার ৯ ডিসেম্বর। আর প্রতীক বরাদ্দ দেয়া হবে ১০ ডিসেম্বর।
হেলালুদ্দীন আহমদ বলেন, ‘রোববার থেকে আমরা সেনাবাহিনীর সিগন্যাল কোরের সদস্যদের তিন দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ দেব। তাদের সঙ্গে আমাদের আইসিটি শাখার কর্মকর্তারা আবার বিভাগীয় পর্যায়ে ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ দেবে। ইভিএম যৌথভাবে সেনাবাহিনী এবং ইসি কর্মকর্তারা পরিচালনা করবে।’
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘একটি ইভিএম মেশিনে সহকারী প্রিজাইডিং কর্মকর্তা তার আঙুলের ছাপ দিয়ে ২৫ শতাংশ ব্যালট পেপার ইভিএমের ব্যালট ইউনিটে ওপেন করতে পারবেন। কোনো ভোটারের আঙুলের ছাপ যদি কাজ না করে, সেক্ষেত্রে প্রিজাডিং কর্মকর্তা তার নিজের আঙুলের ছাপ দিয়ে সংশ্লিষ্ট ভোটারের ব্যালট পেপারটি চালু করবেন। এভাবে ২৫ শতাংশ ভোটারের ব্যালট ওপেন করতে পারবেন তিনি।’
ইসি সচিব বলেন, ‘মানুষ আগের চেয়ে অনেক শিক্ষিত হয়েছে। এছাড়া আমরা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আগে ব্যবহার করে সুফল পেয়েছি। তাই ইভিএম ব্যবহারের কোনো সমস্যা হবে না।’ সাংবাদিকদের ব্রিফ করছেন ইসি সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ
স্থানীয় নির্বাচনে এক দশক আগে ইভিএম ব্যবহার শুরু হলেও জাতীয় নির্বাচনে এবারই প্রথম তা ব্যবহার হতে যাচ্ছে। এজন্য আইন সংশোধন করতে হয় তড়িঘড়ি করে। সংসদে পাসের মতো সময় না পেয়ে শেষে রাষ্ট্রপতির মাধ্যমে অধ্যাদেশ জারি করে তা কার্যকর করতে হয়।
ইসির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, মোট ৪০ হাজারটির মধ্যে ৯০০টির মতো কেন্দ্রে ইভিএমে ভোট গ্রহণ হবে, অর্থাৎ সেগুলোতে কোনো ব্যালট পেপার থাকবে না।
বিএনপি, জাতীয় পার্টিসহ অধিকাংশ দলের বিরোধিতার মধ্যেই একাদশ সংসদ নির্বাচনে ইভিএমে ভোটগ্রহণের সিদ্ধান্ত নেয় নির্বাচন কমিশন।
তফসিল ঘোষণার সময় সিইসি কেএম নূরুল হুদা বলেছিলেন, শহরাঞ্চলে ‘অল্প’ কয়েকটি কেন্দ্রে ইভিএম বা ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন ব্যবহার হবে।
গতকাল শুক্রবার এক অনুষ্ঠানেও তিনি বলেন, ‘আমরা ইভিএম পরীক্ষামূলকভাবে ব্যবহার করব। একেবারে সীমিত আকারে ব্যবহার করতে হবে। অথবা কয়েকটি আসনের কিছু সংখ্যক কেন্দ্রে ইভিএম ব্যবহার হবে।’
তবে শনিবারের ঘোষণায় দেখা যাচ্ছে, দৃশ্যত বড় পরিসরেই ইভিএম ব্যবহারের সিদ্ধান্ত নিল নির্বাচন কমিশন।
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ইভিএমের পক্ষে অবস্থান নিলেও দলটি জানায়, নির্বাচন কমিশন ইভিএম ব্যবহার না করলেও তারা কোনো আপত্তি জানাবে না।
তবে বিএনপি, ঐক্যফ্রন্ট, জাতীয় পার্টিসহ রাজনৈতিক দলগুলো ইভিএমের ঘোর বিরোধিতা করে আসছে। আপত্তি না শুনলে ঐক্যফ্রন্ট নেতা ও জেএসডি সভাপতি আ স ম আব্দুর রব মামলারও হুমকি দেন।
তফসিল অনুসারে, আগামী ৩০ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। ২৮ নভেম্বর মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিন। ২ ডিসেম্বর মনোনয়নপত্র বাছাই, প্রার্থিতা প্রত্যাহার ৯ ডিসেম্বর। আর প্রতীক বরাদ্দ দেয়া হবে ১০ ডিসেম্বর।