নিজস্ব প্রতিবেদকঃ নিজেই নিজের ফাঁসি চাইলো সিলেটে খাদিজা হত্যাচেষ্টা মামলার আসামি বদরুল।
বললো খাদিজা বেঈমান, তার জয় হোক।
রোববার সিলেটের মহানগর মুখ্য বিচারিক হাকিম আদালতে তাকে হাজির করা হয়। এসময় উপস্থিত সাংবাদিকদের দেখে তিনি উচ্চ স্বরে এ কথা বলেন।
খাদিজাকে ‘বিশ্বাসঘাতক, বেঈমান, মোনাফিক, প্রতারক আখ্যায়িত করে বদরুল সাংবাদিকদের বলে, খাদিজার মঙ্গল হোক, আমার ফাঁসি হোক।
অতিরিক্ত পিপি মাহফুজুর রহমান জানান, রোববার দ্বিতীয় দিনে আদালতে ১৫ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়। গেলো ৫ ডিসেম্বর এ মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ শুরুর দিন ১৭ জন তাদের জবানবন্দি উপস্থাপন করেন। এ নিয়ে দু’দিনে মোট ৩২ জনের বক্তব্য শুনলেন আদালত।
মামলার সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য আসছে ১৫ ডিসেম্বর পরবর্তী তারিখ ঠিক করেছেন বিচারক। ওই দিন হামলার শিকার খাদিজা বেগম নার্গিস ও স্কয়ার হাসপাতালের চিকিৎসককে হাজির থাকার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
৩ অক্টোবর সিলেটের এমসি কলেজ কেন্দ্রে স্নাতক পরীক্ষা দিয়ে বের হয়েই হামলার শিকার হন সিলেট সরকারি মহিলা কলেজের স্নাতক (পাস কোর্স) দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী খাদিজা। তাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে বদরুলের কোপানোর ভিডিও ফেইসবুকে ছড়িয়ে পড়লে সারা দেশে তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়। ঘটনাস্থল থেকেই বদরুলকে ধরে পুলিশে দেয় জনতা।
ঢাকার স্কয়ার হাসপাতালে ৩ দফা অস্ত্রোপচারের পর অনেকটা সুস্থ হন মাথায় আঘাত পাওয়া খাদিজা। শরীরের বাঁ পাশ স্বাভাবিক সাড়া না দেয়ায় চিকিৎসার জন্য তাকে পাঠানো হয় সাভারের সিআরপিতে।
খাদিজার ওপর হামলাকারী বদরুল শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যাছলয়ের অর্থনীতি বিভাগের শেষ বর্ষের ছাত্র ও বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সহ-সম্পাদক ছিলেন। বদরুলকে বিশ্ববিদ্যালয় ও সংগঠন থেকে বহিষ্কার করা হয়।
ঘটনার পরদিন খাদিজার চাচা আব্দুল কুদ্দুস বাদি হয়ে শাহপরাণ থানায় হত্যাচেষ্টার মামলা করেন। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা শাহ পরান থানার এসআই হারুনুর রশিদ ৮ নভেম্বর আদালতে বদরুলের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেন।