উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে দলীয় প্রার্থী ঠিক করতে ডাকা সিলেটের কোম্পানিগঞ্জে উপজেলা আওয়ামী লীগের বর্ধিতসভায় হট্টগোল ও চেয়ার ভাঙচুরের পর সভা পণ্ড হওয়ার ঘটনায় দুই নেতাকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
মঙ্গলবার রাতে গণমাধ্যমে প্রেরিত সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অ্যাডভোকেট মো. লুৎফুর রহমান স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, কোম্পানিগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আপ্তাব আলী কালা মিয়া ও সাংগঠনিক সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম দাঙ্গা-হাঙ্গামার সৃষ্টি করে দলের শৃঙ্খলাভঙ্গ ও কেন্দ্রের নির্দেশনা অমান্য করায় তাদের বহিষ্কার করা হলো।
বহিষ্কৃত উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আপ্তাব আলী কালা মিয়া ও সাংগঠনিক সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে দলীয় মনোনয়নপ্রত্যাশী ছিলেন। বিগত উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে জাহাঙ্গীর আলম অল্প ভোটের ব্যবধানে আবদুল বাছিরের কাছে পরাজিত হন।
এর আগে মঙ্গলবার বিকেলে উপজেলা পরিষদ সম্মেলনকক্ষে অনুষ্ঠিত উপজেলা আওয়ামী লীগের বর্ধিতসভায় জেলা নেতৃবৃন্দের সামনেই হট্টগোল, চেয়ার ভাঙচুর ও আওয়ামী লীগ নেতা বহুল আলোচিত-সমালোচিত পাথর ব্যবসায়ী শামিম আহমদকে ধাওয়া দেয়া হয়। পরে জেলা আওয়ামী লীগ নেতাদের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা গেলেও সভা করার মতো পরিবেশ না থাকায় বর্ধিতসভাটি আর করা সম্ভব হয়নি।
উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা আলী আমজাদের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আপ্তাব আলী কালা মিয়ার পরিচালনায় সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এবং জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট লুৎফুর রহমান। বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাবেক সংসদ সদস্য শফিকুর রহমান চৌধুরী, জেলা আওয়ামী লীগ নেতা অ্যাডভোকেট মাহফুজুর রহমান, জগলু চৌধুরী প্রমুখ।
এ বিষয়ে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম বলেন, বহিষ্কারের কোনো কাগজ আমি পাইনি। কোনো ধরনের শোকজ ছাড়া নিয়ম বহির্ভূতভাবে জেলা সভাপতি আমাকে বহিষ্কার করতে পারেন না। জেলা সভাপতি বর্ধিতসভায় দলীয় নির্দেশনা না মেনেই নিজের পছন্দের ব্যক্তিকে মনোনীত করার জন্য প্রকাশ্যে ভোট চান। এর পরিপ্রেক্ষিতেই তৃণমূল নেতাকর্মীরা ক্ষুব্দ হয়েছেন। এখানে আমার কোনো দায় নেই।