নিজস্ব প্রতিবেদকঃ সিলেট ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির মাস্টার্স শেষ বর্ষের মেধাবী ছাত্রী গত ৮ ডিসেম্বর উপশহর নিজ বাসা থেকে ক্যান্টলমেণ্ট প্রাথমিক স্কুলে চাচত বোন তাহিয়াত (৪ )কে ভর্তি করার জন্য বের হন।
সকাল ৯টার সময় লেগুনা দিয়ে জাওয়ার পথে সিলেট তামাবিল রোডের বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ক্যান্টলমেন্টের সামনে একটি বাস অপর বাসের সাথে প্রতিযোগিতা করতে লেগুনা থেকে নামতে থাকা যাত্রী রেহানা আক্তার রাহমা (২২) চাচী রায়হানা বেগম (৪০) এবং আরও দুজনকে ধাক্কা দিয়ে রাহমাকে গাড়ির চাকার নিচে ফেলিয়ে দেয় এতে তার মাথা ফেটে রক্ত বের হতে থাকে অজ্ঞান অবস্তায় সাথে সাথে সেখানকার সেনাবাহিনীর ডাক্তার টিম এ্যাম্বুলেন্স নিয়ে এগিয়ে আসে।
তার মাথায় বেন্টিস এবং শরীরের বিভিন্ন যায়গায় বেন্টিস দিয়ে সাথে থাকা তার চাচির হাত মাথা ফাটা সহ তাদেরকে সিলেট উসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়ে দেয়। খবর পেয়ে সেখানে ছুটে চলেন রাহমার বড় ভাই কামরুল হাসান এবং চাচত বোন ডাঃ ফাতিমাতুজ ঝাহরা। সেখানে প্রথমিক চিকিতসা দিয়ে তাদেরকে জরুরী ভিত্তিতে লাইফ সাপোর্টে রাখার ব্যবস্তা করা হয়। বিকাল ৩টা পর্যন্ত অবস্তার কোন উন্নতি না হলে জরুরী ভিত্তিতে এয়ার এ্যাম্বুলেন্স ( হেলিকেপ্টারে) তাদেরকে ঢাকা এপোলো হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। সেখানের কর্তব্যরত ডাক্তার এবং বিভাগীয় প্রধানদের বোর্ড বসে সিধান্ত নিয়ে প্রাথমিক অবস্তায় লাইফ সাপোর্টে চিকিৎসা দেওয়া হয়। গত সোমবার তার ব্রেইন অপারেশন করার পর আবার লাইফ সাপোর্টে রাখা হয় কিন্তু এখনও তার জ্ঞান ফিরেনি। চিকিৎসকরা তাদের সকল চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। পরিবারের পক্ষ থেকে রাহমার বাবা জনাব আলহাজ আমীর আলী দেশ বাসীর কাছে মেয়ের জন্য দোয়া চেয়েছেন।
রেহানার গ্রামের বাড়ি মৌলভীবাজার জেলার বড়লেখা উপজেলার বাগাটিকর গ্রামের আলহজ আমির আলীর (সাবেক ইয়পি সদস্য) মেয়ে। তিন বোন এবং পাঁচ ভাইয়ের মধ্যে রাহমা বোনদের মধ্যে ছোট এবং তার ছোট এক ভাই।
সে মিরাবাজার জামেয়া থেকে এস,এস,সি জালালাবাদ ইউনিভার্সিটি কলেজ থেকে এইচ,এস,সি এবং ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি থেকে বি,বি এ, অনার্স মস্টারস শেষ করে এবারের বি,সি,এস পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিল।
বাবা এবং চাচা আলহাজ কুতুব উদ্দিন মিলে দেশ বাসীর কাছে যেহেতু দোয়া চেয়েছেন তাই এই মেধাবী ছাত্রীর সুস্ততার জন্য আমরা দোয়া করি আল্লাহ যেন তাকে সুস্ত করে তার মা বাবার কাছে পৌঁছে দেন।