সুবর্ণচরের ধর্ষকদের বিএনপি নেতা বানালেন বিচারপতি মানিক

432

জাতীয় নির্বাচনকে কেন্দ্র করে নোয়াখালীর সুবর্ণচরে গণধর্ষণের মূল হোতা রুহুল আমিন আগে বিএনপি নেতা ছিল বলে জানিয়েছেন সাবেক বিচারপতি শামসুদ্দীন চৌধুরী মানিক। তিনি বলেন, নির্বাচনের অল্প কিছু দিন আগে রুহুল আওয়ামী লীগে যোগ দেন।

farrukh-home

সোমবার জাগো বাংলা ফাউন্ডেশন আয়োজিত ‘নির্বাচন ২০১৮: অপরাজনীতির প্রস্থান ও নতুন অধ্যায়ের সূচনা’ শীর্ষক এক গোলটেবিল বৈঠকে প্রধান আলোচক হিসেবে তিনি এমন কথা জানান।

বিচারপতি মানিক বলেন, সুবর্ণচরের ধর্ষণের ঘটনা নির্বাচন কেন্দ্রীক নয়। ব্যক্তিগত কারণে এই ধর্ষণ করা হয়েছে।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের কাউয়া উপাধি দেয়া কাউয়াদের একজন সুবর্ণচরের রুহুল আমিন- যোগ করেন সাবেক এই বিচারপতি।

সুবর্ণচর আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক ধর্ষক রুহুল আমিন বর্তমানে পুলিশ হেফাজতে রয়েছেন।

এই ধর্ষণ প্রসঙ্গে বিচারপতি মানিক আরো বলেন, আওয়ামী লীগ ধর্ষণ করে নাই। ব্যক্তি একজন করেছে, তাই আওয়ামী লীগ ক্ষমা চাইবে কেন?

ধানের শীষে ভোট দেয়ার অপরাধে সুবর্ণচরে ৩০ ডিসেম্বর  নির্বাচনের রাতে স্বামী-সন্তানের সামনে চার সন্তানের জননীকে ধর্ষণ করার জন্য আওয়ামী লীগকে ক্ষমা চাইতে বলেছে বিএনপি।

শামসুদ্দীন মানিক বলেন, ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চের পরিকল্লনায় ড. কামাল হোসেনের ভূমিকা ছিল। এ বিষয়ে একাধিক বইয়ে পাকিস্তানি মেজরদের সাথে ড. কামালের বৈঠকের নানা তথ্য তুলে ধরা হয়েছে।

তিনি বলেন, বিএনপি জেনে, আবার না জেনে মিথ্যা কথা বলে। মিথ্যা হলো বিএনপির রাজনীতির মূলমন্ত্র।

বৈঠকে বিকল্প ধারার প্রেসিডিয়াম সদস্য শমসের মবিন চৌধুরী বলেন, অপরাজনীতি অপসারণ করা একটা চলমান প্রক্রিয়া। মুক্তিযুদ্ধের মূল্যবোধ মৌলিক হতে হবে চেতনার থেকে।

তিনি বলেন, ৩০ ডিসেম্বর অনেক খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা হেরেছেন। তাদের হারার পেছনে একমাত্র কারণ তারা অপশক্তিকে আশ্র‍য় দিয়েছেন।

নাট্য ব্যক্তিত্ব সৈয়দ হাসান ইমাম বলেন, ড. কামাল হোসেন মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন না। তিনি লাহোরে জেলে ছিলেন। বঙ্গবন্ধুর পরামর্শ দাতা ছিলেন।

তিনি বলেন, শহরের সংস্কৃতি দিয়ে গ্রামের উন্নয়ন চাই না। গ্রামের ঐতিহ্য দিয়ে গ্রামের উন্নয়ন চাই।

রাজনীতি বিশ্লেষক সুভাষ সিংহ রায় বলেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় মানুষের চিন্তার মধ্যে পরিবর্তন এসেছে, যা বিএনপি বুঝতে পারে নাই।

বিএনপির তিন মাইনাস ফর্মূলা গ্রহণ করার পরামর্শ দিয়ে তিনি বলেন, প্রথমে তারেক রহমানকে বাদ দিতে হবে। দ্বিতীয় জামায়াতকে বাদ দিতে হবে৷ তৃতীয় জঙ্গিবাদকে বাদ দিতে হবে।

বৈঠকে নিরাপত্তা বিশ্লেষক মেজর জেনারেল (অব.) মো. আলী সিকদার বলেন, ড. কামাল, বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী আর বিএনপি জামায়াতের মধে কোনো পার্থক্য নেই।

রাজনৈতিক যুদ্ধের মাধ্যমে এদের দূর করার পরামর্শ দেন তিনি।

তিনি বলেন, ৩০ ডিসেম্বর তরুণ প্রজন্ম ভোট দিয়েছে। এ জন্য আওয়ামী লীগের এতো বড় জয়।

সবাইকে সরকার ও বিরোধীদলকে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে এনে রাষ্ট্র গঠনের পরামর্শ দেন এই নিরাপত্তা বিশ্লেষক।

সংগঠনের প্রধান নির্বাহী নাসির আহমেদের সভাপতিত্বে আরো বক্তব্য রাখেন ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক সোহেল হায়দার চৌধুরী, ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটির ভিসি অধ্যাপক আব্দুল মান্নান চৌধুরী, সংগঠনের সদস্য সচিব ডা. মামুন আল মাহতাব স্বপ্নীল প্রমুখ।

Leave A Reply

Your email address will not be published.

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.