সেনাবাহিনীকে রাখাইনের বিদ্রোহ ‘গুঁড়িয়ে’ দিতে বললেন সু চি
মিয়ানমার সরকারের প্রধান অং সান সু চি সেনাবাহিনীকে রাখাইন রাজ্যের বিদ্রোহীদের ‘গুঁড়িয়ে’ দিতে বলেছেন বলে জানিয়েছে সরকারের একজন মুখপাত্র।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানায়, সোমবার দেশটির সেনাপ্রধানের সঙ্গে এক বিরল বৈঠকে বসেন সু চি। মিয়ানমার পুলিশের ওপর বিদ্রোহীদের হামলার বিষয়ে আলোচনার সময় তার প্রশাসন সশস্ত্র বাহিনীকে বিদ্রোহীদের দমন করতে বলেন।
রাখাইনের পশ্চিমে সরকারি বাহিনী এবং বিদ্রোহী আরাকান আর্মির মধ্যে লড়াইয়ের কারনে গত ডিসেম্বরের শুরু থেকে হাজার মানুষ বাস্তুহারা হয়েছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ।
আরাকান আর্মি বৌদ্ধ জনগোষ্ঠীর অধ্যুষিত রাখাইন রাজ্যে স্বায়ত্তশাসন দাবী জানিয়ে আসছে।
অন্যদিকে, রাজ্যটিতে আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মি বা আরসা সংখ্যালঘু রোহিঙ্গা মুসলিমদের অধিকার রক্ষা করছে বলে দাবী করে।
২০১৭ সালে উত্তর রাখাইনের কয়েকটি পুলিশ পোস্টে হামলা চালানোর পর মিয়ানমার সরকার রোহিঙ্গা মুসলিমদের বিরুদ্ধে ব্যাপক দমন অভিযান শুরু করে। এরপর সাত লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা মুসলিম প্রাণ বাঁচাতে বাংলাদেশে পালিয়ে এসে আশ্রয় নেয়। মিয়ানমারের সরকার আরসাকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে আখ্যায়িত করেছে।
মিয়ানমার সরকারের মুখপাত্র জ হতেই বলেন সু চি, প্রেসিডেন্ট উইন মিয়ান্ত এবং মন্ত্রিপরিষদের অন্যান্য সদস্যরা সেনাবাহিনীর প্রধান মিন অং হ্লেইং, তার সহকারি এবং সেনাবাহিনীর গোয়েন্দা বিভাগের প্রধানসহ সেনাবাহিনীর নেতৃস্থানীয়দের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। তারা ‘পররাষ্ট্র এবং জাতীয় নিরাপত্তাসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে’ আলোচনা করেন জানান তিনি।
‘সন্ত্রাসীদের দমন করার জন্য প্রেসিডেন্টের কার্যালয় থেকে সেনাবাহিনীকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে,’ বলেন জ হতেই।
রয়টার্স জানায়, সেনাবাহিনী প্রণীত সংবিধানের কারনে সু চি’র পক্ষে মিয়ানমারের প্রেসিডেন্ট হওয়া সম্ভব নয় এবং প্রেসিডেন্ট উইন মিন্ট সেনাবাহিনীর প্রতি অনুগত। সু চি বেসামরিক সরকারের সর্বোচ্চ নেতা এবং কিন্তু সেখানে নিরাপত্তার দায়িত্বে রয়েছে সেনাবাহিনী।
শুক্রবার বিদ্রোহী আরাকান আর্মি চারটি পুলিশ পোস্টে হামলা চালিয়ে ১৩ জন পুলিশকে হত্যা এবং নয় জনকে আহত করেছে বলে জানিয়েছে দেশটির গণমাধ্যমগুলো। ওইদিন মিয়ানমারের স্বাধীনতা দিবস ছিল।