‘সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে অপপ্রচারে নেমেছে বিএনপি’

411

আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহমান অভিযোগ করেছেন, পাকিস্তানি গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআইয়ের প্রেসক্রিপশনে সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে অপপ্রচারে নেমেছে বিএনপি এবং তাদের শরিক জামায়াত-ঐক্যফ্রন্ট।

AL News

মঙ্গলবার দুপুরে আওয়ামী লীগ সভাপতির ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ অভিযোগ করেন।

আব্দুর রহমান বলেন, ‘বিএনপি-জামায়াত-ঐক্যফ্রন্টের মিথ্যাচারের ভয়াবহতা এতই প্রকট হয়ে উঠেছে যে, তাদের মনগড়া, বিকৃত, বাস্তবতাবিবর্জিত অপপ্রচার রাজনীতির ময়দান ছেড়ে আমাদের জাতিগত গর্ব ও আত্মমর্যাদার স্মারক জাতীয় সেনাবাহিনী পর্যন্ত গড়িয়েছে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী, দেশপ্রেমিক, সুশৃঙ্খল ও পেশাদার সশস্ত্র বাহিনী আজ বিশ্বশান্তি রক্ষায় অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করে বিশ্বসভায় বাংলাদেশের মর্যাদা উজ্জ্বল করেছে। কিন্তু, আজ বিএনপি-জামায়াত পাকিস্তানি গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআইয়ের প্রেসক্রিপশনে সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে অপপ্রচারে নেমেছে।’

তিনি বলেন, ‘কিছুদিন আগেও ঐক্যফ্রন্টের নেতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ও সেনাবাহিনী প্রধানকে নিয়ে কীভাবে নির্লজ্জ মিথ্যাচার ও অপপ্রচার করেছেন। পরে দুঃখ প্রকাশ করে দেয়া বিবৃতিতেও বিকৃত তথ্য দিয়েছিলেন।’

আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, ‘এখন সেনাবাহিনীর নামে বিভিন্ন ভুয়া ওয়েবসাইট ও ফেসবুক আইডি খুলে অপপ্রচার ও বিভ্রান্তি ছড়ানোর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে বিএনপি ও তাদের শরিক দলের নেতারা।’

তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে নিয়ে বিএনপি-জামায়াতের এই ধরনের ষড়যন্ত্র নতুন নয়। বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান মিথ্যা ক্যু-এর নামে তথাকথিত সামরিক ট্রাইব্যুনালে প্রহসনের বিচারে শত শত মুক্তিযোদ্ধা, সেনা কর্মকর্তা ও হাজার হাজার সেনা সদস্যকে হত্যা করেছেন। প্রতিদিন নাস্তার টেবিলে বসে অবৈধ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান শত শত সেনা সদস্যের ফাঁসির রায় স্বাক্ষর করতেন।’

আব্দুর রহমান বলেন, ‘বিবেকের আয়নার সামনে দাঁড়ালে ড. কামাল হোসেন নিজের পাশে ইয়াহিয়া খানকে দেখতে পাবেন। তিনি এখন পাকিস্তানি ভাবধারার অনুসারিদের অভিভাবক। ২১ আগস্টের হামলাকারী, একাত্তরের যুদ্ধাপরাধী ও তাদের পরিবারের পৃষ্ঠপোষক।’

তিনি বলেন, ‘বিএনপি-জামায়াত-ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থীরা নিজেদের লোক দিয়ে আওয়ামী লীগ ও মহাজোট প্রার্থীদের নির্বাচনী অফিসে হামলা, অগ্নিসংযোগ এবং নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করছে। নির্বাচনে পরাজয়ের আশঙ্কা থেকে তারা ঢাকাসহ সারা দেশে বড় ধরনের নাশকতার পরিকল্পনা করেছে বলে আমরা জেনেছি।’

দেশবাসীকে বিএনপি-জামায়াতের এ ধরনের অপতৎপরতা সম্পর্কে সতর্ক থাকার আহ্বান জানান আব্দুর রহমান। একইসঙ্গে অপতৎপরতার বিরুদ্ধে ব্যালটের মাধ্যমে জবাব দেয়ার অনুরোধ করেন।

আওয়ামী লীগে ২৩ জন যুদ্ধাপরাধী রয়েছেন— বিএনপির এই দাবির জবাবে আব্দুর রহমান বলেন, ‘আওয়ামী লীগের ভেতরে যুদ্ধাপরাধী রয়েছে- এটা শুধু একটা বলার জন্য বলা কথা। যুদ্ধাপরাধীদের ট্রাইব্যুনালে বিচার হয়েছে, সেই বিচারের রায় হয়েছে। এ রকম কোনো যুদ্ধাপরাধী আওয়ামী লীগের মধ্যে যদি থেকে থাকে তাহলে বিএনপির ট্রাইব্যুনালের আশ্রয় নেয়া উচিত ছিল। ট্রাইব্যুনালের আশ্রয় না নিয়ে এই ধরনের রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হয়ে মিথ্যাচার করা জাতির জন্য লজ্জাস্কর এবং এটা আমাদের কাছে হাস্যকর ব্যাপার।’

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বাহাউদ্দিন নাছিম, আহমদ হোসেন প্রমুখ।

Leave A Reply

Your email address will not be published.

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.