সেনাবাহিনী আটক করতে পারবে: সিইসি
সারা দেশে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কেএম নূরুল হুদা। তিনি বলেছেন, নির্বাচনে সেনাবাহিনীকে ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা দেয়া হয়নি। তবে সিআরপিসি অনুযায়ী পরিস্থিতি বিবেচনায় তারা আটক করতে পারবে।’
শনিবার বিকেলে আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনের মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে সিইসি একথা বলেন।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি, নির্বাচনে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত হয়েছে। সৎ প্রার্থীরা প্রচারকাজ চালাতে পারছেন।’
এক প্রশ্নের জবাবে নূরুল হুদা বলেন, ‘ভোটকক্ষের ভেতরে কোনোভাবেই মোবাইল ব্যবহার করা যাবে না। তবে মোবাইল ব্যাংকিং ও ইন্টারনেটের গতি কমানোর বিষয়ে এখনো সিদ্ধান্ত হয়নি।’
আচরণবিধি ভঙ্গের বিষয়ে নূরুল হুদা বলেন, ‘আমরা ১২২টি নির্বাচনী তদন্ত কমিটি গঠন করেছি। তাদের কাছে অভিযোগ করলে ভাল হয়। নির্বাচনের দায়-দায়িত্ব বেশিরভাগ রিটার্নিং কর্মকর্তার হাতে। নির্বাহী ও বিচারিক ম্যাজিস্ট্রেট আছেন, তাদের কাছেও অভিযোগ দেয়া যাবে।’
বিরোধী দলগুলোর ওপর পুলিশি হামলা ও হয়রানির বিষয়ে সিইসি বলেন, ‘আমরা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং মহাপুলিশ পরিদর্শককে কাল-পরশুর মধ্যেই চিঠি দেব, যেন নিষ্প্রয়োজনে কোনো প্রার্থী, প্রার্থীর কর্মীদের ফৌজদারি অপরাধের সঙ্গে জড়িত না থাকলে যেন হয়রানি, গ্রেফতার না করা হয়।’
এ সময় তিনি জানান, আচরণবিধি প্রতিপালন নিয়ে আগামী সপ্তাহ থেকে টেলিভিশনগুলোতে বিজ্ঞাপন প্রচার হবে।
নূরুল হুদা বলেন, ‘আজকের বৈঠকে পর্যবেক্ষক, সাংবাদিকদের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছি। ভোটকক্ষে কোনো লাইভ করা যাবে না। তবে ভোটকক্ষের মধ্যে ছবি বা ভিডিও করতে কোনো বাধা নেই। কেন্দ্রে সীমিত আকারে সাংবাদিকেদের যেতে হবে, যাতে ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের অসুবিধা নয় হয়। যে নীতিমালা আছে, তা বাংলাদেশি ও বিদেশি পর্যবেক্ষদের মানতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘ভোটের গোপন কক্ষের ছবি তোলা যাবে না, বিষয়টি পরিষ্কার। মোবাইল ফোনেও ছবি তোলা যাবে। যেখানে ভোট পরিচালনা করা হয়, যেখানে পোলিং ও প্রিজাইডিং অফিসার, পোলিং এজেন্ট বসেন, সেখানে লাইভ করা যাবে না। বারান্দায় এসে লাইভ করা যাবে। ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের কাজে যেন ব্যাঘাত না হয়, এজন্য এমন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘ভোটকক্ষে একসঙ্গে ৩০-৪০ জন গেলে কাজে ব্যাঘাত ঘটবে। ফলে প্রিজাইডিং অফিসারই ঠিক করে দিবেন, কতজন যেতে পারবেন। তার কথা সবাইকে মানতে হবে।’
এ সময় নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার, রফিকুল ইসলাম, ব্রিগেডিয়ার (অব.) শাহাদাৎ হোসেন চৌধুরী, কবিতা খানম ও ইসি সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ উপস্থিত ছিলেন।