সেনা মোতায়েনে ভোটারদের মধ্যে আস্থা ফিরবে: সিইসি
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোটারদের মধ্যে আস্থা ফেরাতে সেনা মোতায়েন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কেএম নূরুল হুদা। তিনি বলেছেন, সেনা মোতায়েনের উদ্দেশ্যই হল ভোটারদের মনে আস্থা তৈরি করা। আশা করি এর ফলে ভোটারদের মনে আস্থা ফিরে আসবে।
নির্বাচনে সেনাবাহিনী সব ধরনের দায়িত্ব পালন করবে বলে উল্লেখ করে সিইসি বলেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষার জন্য সেনাবাহিনী যে০ কোনো দায়িত্ব পালন করবে। সেনাবাহিনীর সামনে যদি এমন কোনো পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়, যা নিয়ন্ত্রণের প্রয়োজন, তখন তারা স্ব-উদ্যোগে সেখানে গিয়ে সে পরিস্থিতি সংযত করবে। এগুলোর আইন আছে, ‘এইড টু সিভিল পাওয়ার’-এর আলোকে তারা ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
নির্বাচনে অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে সব রাজনৈতিক দলকে আহ্বান জানিয়ে সিইসি বলেন, নির্বাচন যেন নির্বাচনের মতো হয়। সহিংসতা, নিজেদের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝি, তর্ক-বিতর্ক, হাঙ্গামা পরিহার করে কেবলমাত্র প্রচারের মাধ্যমে নির্বাচনে মনোযোগী থাকার জন্য অনুরোধ জানাই। এক্ষেত্রে সেনাবাহিনী এলে আরও সহায়তা হবে। আমি বিশ্বাস করি, অপ্রীতিকর সব কিছু এখন থেকেই নিয়ন্ত্রণ হবে।
২৭ ডিসেম্বর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বিএনপির জনসভার অনুমতি প্রসঙ্গে সিইসি বলেন, এ বিষয়ে আমি এখনও ডিএমপি’র কমিশনারের সঙ্গে কথা বলিনি। এখান থেকে ফিরে আমি কথা বলব। এগুলো তো আইনশৃঙ্খলার সংক্রান্ত বিষয়। ডিএমপি এসব ভালো বোঝে। আমরা এগুলো তেমনভাবে জানি না। জনসভা ঘিরে কোনো থ্রেট আছে কিনা, কোনো আশঙ্কা আছে কিনা আমি তা আলাপ করে দেখব।
রাজনৈতিক দলগুলো সন্দেহ দূর করতে ছয়টি আসনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহার করে ভোটগ্রহণের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে জানিয়ে কেএম নূরুল হুদা বলেন, ইভিএম নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে সন্দেহ ছিল। সেই সন্দেহ গুরুত্ব দিতে গিয়েই ইসি সীমিত সংখ্যায় মাত্র ৬টি আসনে ইভিএমে ভোট নেয়া হচ্ছে। এখনও যারা ইভিএম নিয়ে সন্দেহ পোষণ করেন তাদেরকে বলি, আপনারা ৬টি আসনে চলমান প্রশিক্ষণে আসুন। সবকিছু ভালোভাবে জানুন, বুঝুন।
এক প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন, ইভিএম পরিচালনার দায়িত্বে থাকবেন নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তারাই। তাদেরকে সহযোগিতা করতে সেনাবাহিনীর প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত চৌকস কর্মকর্তারা দায়িত্ব পালন করবেন।