জাহিদুর রহমান: শুক্রবার জুমার নামাজ পড়েই হোয়াইট হাউজের সামনে প্রতিবাদ জানালো আমেরিকার শত শত মুসলিম সম্প্রদায়। জেরুজালেমকে ইসরাইলের রাজধানী হিসেবে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ঘোষণার পর বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মত যুক্তরাষ্ট্রেও চলছে প্রতিবাদের ঝড়। নামাজ শেষে সেখানে মুসল্লিরা বিক্ষোভ করে ট্রাম্পের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানান। বিক্ষোভকারীদের অনেকেই মাথায় ফিলিস্তিনিদের কেফিয়া এবং হাতে পতাকা বহন করেন। অনেকের হাতে ছিল ইসরাইলের দখল করা পশ্চিমতীর, পূর্ব জেরুজালেম ও আল আকসা মসজিদের প্লা-কার্ড,বিক্ষোভে অনেক বাংলাদেশি অংশ নেয়।
বুধবার রাতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প তার বক্তৃতার সময় জেরুজালেমকে ইসরাইলের রাজধানী হিসেবে স্বীকৃতির কথা জানান এবং তেল আবিব থেকে মার্কিন দূতাবাস সেখানে স্থানান্তরের ঘোষণা দেন।বিক্ষোভে অংশ নেন,নিহাদ আওয়াদ(কেয়ার),নাইম বেগ(ইখনা),ওসামা জামাল,তাহেরা ও ইমাম ওমর সুলাইমান।
নিহাদ আওয়াদ তার বক্তব্যে, ট্রাম্পের সিদ্ধান্তে ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘ট্রাম্প জেরুজালেম এবং ফিলিস্তিনের মাটির মালিক নন। তিনি ট্রাম্প টাওয়ারের মালিক। ইসরাইলকে কিছু দিতে চাইলে এটি দিয়ে দিক।’ মার্কিন প্রেসিডেন্টকে খ্রিস্টান ধর্মের উগ্রপন্থী বলেও মন্তব্য করেন।
ট্রাম্পের উচিত আমেরিকান স্বার্থরক্ষায় সর্বপ্রথম কাজ করা। অন্যের লবিংয়ে, তাদের ঘুঁটি হয়ে কাজ না করা।
অংশনেয় বাংলাদেশী আমেরিকান মুসলিম
আরেক বিক্ষোভকারী জাহিদ আল-হারশেহ বলেন, ট্রাম্পের এই সিদ্ধান্ত শান্তির জন্য নয়। তিনি সেখানে আরো গণ্ডগোল তৈরি করছেন। এতে মুসলিম বিশ্বের মনে অসন্তোষ তৈরি হয়েছে।
বুধবার রাতে ট্রাম্পের ঘোষণার পরই ফিলিস্তিনের পশ্চিমতীরে ব্যাপক সহিংসতা ছড়িয়ে পড়েছে। ইসরাইল গাজায় বিমান হামলা চালিয়েছে। এতে বহু হতাহত হয়েছে। গাজার প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস নতুন করে ইন্তিফাদার ঘোষণা দিয়েছে।