মুসা,ওয়াশিংটনডিসি:বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াও দলের অন্যান্য নেতাকর্মীদের মুক্তির দাবিতে যুক্তরাষ্ট্র বিএনপি এবং অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ ওয়াশিংটনে হোইট হাউজ ও স্টেট ডিপার্টমেন্টের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে।স্টেট ডিপার্টমেন্টের দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক ডেস্কে স্মারকলিপি প্রদান করেছেন যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির নেতৃবৃন্দ। গত ২৬ ফেব্রুয়ারি দুপুরে স্টেট ডিপার্টমেন্টের এবং বিকেলে হোয়াইট হাউসের সামনে যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন অঙ্গরাজ্য থেকে থেকে আগত কয়েক শত নেতাকর্মী বিক্ষোভ সমাবেশে অংশগ্রহণ করে।
- নিউইয়র্ক, ওয়াশিংটন, নিউজার্সি, বস্টন, ফিলাডেলফিয়া, ম্যারিল্যান্ড, লসএঞ্জেলেস, ফ্লোরিডা, মিশিগান, আটলাান্ট, শিকাগো,আটলান্টিক সিটিসহ অন্যান্য স্টেট থেকে বিএনপির নেতাকর্মীরা বিক্ষোভ সমাবেশে যোগ দেয়।গ্রেটার ওয়াশিংটনডিসি বিএনপির পক্ষ থেকে সমাবেশে যোগদানকারীদের স্বাগত জানানো হয়।
সমাবেশ থেকে দেশে বেগম জিয়ার সাজানো রায়, অব্যাহত হত্যা, খুন বন্ধসহ বিএনপির নেতা-কর্মীদের গ্রেফতার-নির্যাতনসহ মানবাধিকার পরিস্থিতির সীমাহীন অবনতিরও প্রতিবাদ জানানো হয়।
যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন অঙ্গরাজ্য থেকে আগত উপস্থিত বিএনপি নেতারা বলেন, “স্বৈরাচারী হাসিনা সরকার দেশনেত্রী, তিন বারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে আগামী জাতীয় নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করার যে নাটক তৈরী করেছে তারই প্রমাণ এই সাজানো রায়।
তারা আরো বলেন,হাসিনা সরকার বুঝে গেছে তাঁদের পাশে দেশের জনগণ নেই।ভোটারবিহীন নির্বাচন দিয়ে আরেকটা ৫ই জানুয়ারির কোনো সুযোগ নেই ।আমাদের শান্তি মিছিলে সরকারের পুলিশ বাহিনী দিয়ে অশান্তি করে দিচ্ছে।
নেতারা বলেন, যার বিরুদ্ধে ১৫ টার বেশি মামলা ছিল তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে, যে হাসিনার মন্ত্রী পরিষদের দুর্নীতি করে বিচার হওয়ার পরও সেই মন্ত্রি এখনও বহাল ।কিন্তু আমাদের নেত্রী বিনা অপরোধে কারাগারে। আজ দেশে গনত্রন্ত্র নেই তাই বিচারও নেই।
আন্দোলনরত বিএনপি নেতা-কর্মীদের গণগ্রেফতার ও নির্যাতনের মাধ্যমে বাংলাদেশকে পুলিশি রাষ্ট্রে পরিণত করেছে। সেই সঙ্গে সাধারণ মানুষও পাশবিক নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন। নেতারা বলেন, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার ওপর পৈশাচিক আচরণ এবং এই রায় বহির্বিশ্বে দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট করেছে এ সরকার। এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানান তাঁরা।
বিক্ষোভ সমাবেশে অংশগ্রহণ করেন সাবেক সিনিয়র সহ সভাপতি গিয়াস আহমেদ, যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক জিল্লুর রহমান জিল্লু সাবেক সহ সভাপতি শরাফত হোসেন বাবু, প্রতিষ্ঠাতা আহবায়ক ডা. মজিবুর রহমান মজুমদার, সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা কামাল পাশা বাবুল, জসিম ভূঁইয়া, সাবেক সহ সভাপতি আনোয়ার হোসেন, সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আনোয়ারুল ইসলাম, বাকির আজাদ, মিজানুর রহমান ভুইয়া মিল্টন, হাফিজ খান সোহায়েল, নিয়াজ আহমেদ জুয়েল, কাজী শাখাওয়াত হোসেন আজম, ফারুক হোসেন মজুমদার,যুক্তরাষ্ট্র যুব দলের সভাপতি জাকির এইচ চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক আবু সাইদ আহমেদ, নিউইয়র্ক স্টেট বিএনপির সভাপতি মাওলানা অলিউল্যাহ আতিকুর রহমান, জাসাসের সভাপতি আবু তাহের, সাধারণ সম্পাদক কাওসার আহমেদ, সিনিয়র সহ সভাপতি গোলাম ফারুক শাহীন, বিএনপি নেতা কামাল সাঈদ মোহান, আবুল বাসার, ভিপি আলমগীর, টেক্সাস বিএনপির সভাপতি মোহাম্মদ বশির, নিউজার্সি বিএনপির সভাপতি সৈয়দ জুবায়ের আলী, ওয়াশিংটন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এজেএম হোসাইন,সহ সভাপতি সামছুদ্দীন মাহমুদ, সহ সভাপতি মাসুদুর রহমান, মিয়া মজনু, যুগ্ম সাধারন সম্পাদক মোহাম্মদ হোসাইন, শিকাগো বিএনপির সাধারণ সম্পাদিকা ডেইজি ইসলাম, মোজাম্মেল নান্টু , এন হায়দার মুকুট, একে এম রফিকুল ইসলাম ডালিম, প্রফেসর নুরুল আমিন পলাশ, শেখ হায়দার আলী, ওয়াহেদ আলী মন্ডল, মীর মশিউর রহমান, আব্দুস সবুর, মাওলানা আবুল কালাম আজাদ, পারভেজ সাজ্জাদ, আহবাব চৌধুরী খোকন, খলকুর রহমান , সুয়েব আহমেদ , ওদুদ খান, শামীম আহমেদ ,নাজমুন নাহার বেবি, ফোরামের সভাপতি মৌ মোঃ ওমর ফারুক, সাধারন সম্পাদক মোঃ নাসির উদ্দিন, সাবেক সভাপতি ড. নুরুল আমিন পলাশ, সাবেক প্রধান উপদেষ্টা ফারুক হোসেন মজুমদার, সাবেক সাধারন সম্পাদক ছাইদুর খান ডিউক সাবেক সভাপতি নাছিম আহমেদ, ফোরাম নীতি নির্ধারনী কমিটির সদস্য তানভীর হাসান খান প্রিন্স,আব্বাস উদ্দিন দুলাল, মনির হোসেন, শাহাদাত হোসেন, এস এম ফেরদৌস, ফিরোজ আহমেদ, সেলিম রেজা, নাসির উদ্দিন, ফারুক চৌধুরী, নূরুল আমিন নাসির, আমানত হোসেন আমান, ইমরান রন শাহ, রেজাউল আজাদ ভুইয়া, সাইফুর খান হারুণ, আতিকুল হক আহাদ, মাহমুদ চৌধুরী, নওশাদ হোসেন, সিদ্দিক হোসেন রুবেল প্রমুখ।
এছাড়া শারীরিক অসুস্থতার কারণে যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির সাবেক সভাপতি আব্দুল লতিফ সম্রাট উপস্থিত না হতে পারলেও তিনি ফোনালাপে সমাবেশের খবরা খবর নেন।