হোয়াইট হাউসের উপদেষ্টা ট্রাম্পের জামাতা
গত নির্বাচনে ট্রাম্পের পক্ষে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালনের জন্য তাকে এ পুরস্কার দেয়া হচ্ছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে তার ব্যাপারে গুরুতর আইনি ও নৈতিক উদ্বেগ রয়েছে।
কুশনার ট্রাম্পের জ্যেষ্ঠ কন্যা ইভাঙ্কার স্বামী। ২০০৯ সালে তারা বিয়ে করেন। মঙ্গলবার কুশনার ৩৬ বছরে পা দিচ্ছেন। তিনি নিউইয়র্ক অবজারভার পত্রিকার প্রকাশক এবং শ্বশুর ট্রাম্পের মতো একজন রিয়েল এস্টেট ব্যবসায়ী।
হোয়াইট হাউসের শীর্ষ উপদেষ্টা হিসেবে কুশনারের নাম ঘোষণার ফলে তিনি ট্রাম্প প্রশাসনের একজন কনিষ্ঠতম শীর্ষ সদস্য হতে যাচ্ছেন। তিনি বর্তমানে চিফ অব স্টাফ রেইন্স প্রবাস ও প্রধান কৌশলী স্টিভ ব্যাননের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করছেন।
ট্রাম্প বলেন, “নির্বাচনী প্রচারণাকালে ও ক্ষমতা হস্তান্তর প্রক্রিয়ায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে জ্যারেড নিজেকে মূল্যবান সম্পদ ও বিশস্ত উপদেষ্টা হিসেবে প্রমাণ করেছেন এবং আমি আমার প্রশাসনে তাকে গুরুত্বপূর্ণ পদে পেয়ে গর্বিত।”
গত নভেম্বরে নির্বাচনের পর ট্রাম্প প্রথমবারের মত সংবাদ সম্মেলন করার ২ দিন আগে হোয়াইট হাউসের শীর্ষ উপদেষ্টা হিসেবে তার জামাতার নাম ঘোষণা করেন।
১৯৬৭ সালে মার্কিন কংগ্রেস প্রণীত আইন অনুযায়ী, আত্মীয়স্বজনকে নিজের অধীনে কাজকর্মে নিয়োগে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। ‘অ্যান্টি নেপটিজম’ নামে পরিচিত এ আইনের ব্যাখ্যা নিয়ে বহু মত রয়েছে।
ট্রানজিশন কমিটি জানিয়েছে, শীর্ষ উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে কুশনার বেতন নেবেন না। ফোর্বস ম্যাগাজিনের এক তথ্যে বলা হয়েছে, বাবা-মা ও ভাইয়ের সঙ্গে কুশনারের ১৮০ কোটি ডলারের সম্পত্তি রয়েছে।
কুশনারের আইনজীবী জেমি গৌরলিক বলেছেন, “নৈতিকতা-বিষয়ক কমিটির সমস্ত নিয়মনীতির মধ্য দিয়ে দায়িত্ব পালনে প্রস্তুতি নিচ্ছেন কুশনার। এরই মধ্যে তিনি ব্যবসা-বাণিজ্য থেকে নিজের নাম সরিয়ে নিচ্ছেন।
কুশনারের বাবা চার্চ কুশনার একজন বড় মাপের রিয়েল এস্টেট ব্যবসায়ী ছিলেন। কর ফাঁকি দেওয়ার অভিযোগে তিনি দীর্ঘদিন কারাবন্দী ছিলেন।