১২ কেজি তরলীকৃত পেট্রোলিয়াম গ্যাস (এলপিজি) দাম ১৩৮০ টাকা চায় ব্যবসায়ীরা। গ্যাসের মূল্য নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের (বিইআরসি) নির্ধারণ করা দাম ১১০০ টাকা। ব্যবসায়ীরা এ দামে এলপি গ্যাস বিক্রি করছেন না। তারা বোতল প্রতি অতিরিক্ত ২৮০ টাকা বাড়তি দাম দাবি করেছেন।
সোমবার এলপিজির মূল্য সংক্রান্ত গণশুনানিতে রাজধানীর রিয়াম ফাউন্ডেশনের সম্মেলন কক্ষে নতুন দাম নির্ধারণের এই প্রস্তাব দেয় অপারেটররা।
গণশুনানিতে বলা হয়, বাজারে একটি ১২ কেজি এলপিজির বোতলের দাম এক হাজার ১০০ টাকা। সেখানে সমপরিমাণ এলপিজির দাম ১৩৮০ টাকা নির্ধারণ করতে হবে।
কেন প্রতি বোতলে অতিরিক্ত ২৮০ টাকা দাবি করা হচ্ছে এমন প্রশ্নে এলপিজি অপারেটররা বলছেন, তাদের লাভ হচ্ছে না।
সেপ্টেম্বর মাসে সৌদি সিপি (কন্ট্রাক্ট প্রাইস) অনুযায়ী ১২ কেজি এলপিজির দাম নির্ধারণ করা হয়েছে এক হাজার ৩৩ টাকা। কিন্তু বাজারে এই এলপিজি এক হাজার ১০০ টাকায় বিক্রি করছেন অপারেটররা। অর্থাৎ বোতল প্রতি ৬৭ টাকা অতিরিক্ত আদায় করা হচ্ছে। তবে কোম্পানি থেকে কোথাও কোথাও এর থেকে বেশি দামও নেয়া হচ্ছে।
ক্যাবের জ্বালানি উপদেষ্টা অধ্যাপক শামসুল আলম শুনানিতে বলেন, আমি আমার বাসার জন্য ১ হাজার ১০০ টাকাতে এলপিজি কিনেছি। আমার কাছে রিসিটও রয়েছে। তাহলে যে পণ্য এক হাজার ১০০ টাকা আপনারাই দাম নির্ধারণ করে বিক্রি করছেন সেই পণ্যের দাম কেন কমিশনে এসে এক হাজার ৩৮০ টাকা নির্ধারণের দাবি করছেন।
এ সময় এলপিজি অপারেটরদের পক্ষ থেকে বলা হয়, আমরা এক হাজার ১০০ টাকায় বিক্রি করে লাভ করতে পারছি না। এই কারণে আমরা ১ হাজার ৩৮০ টাকা দাম বৃদ্ধির প্রস্তাব করছি। কমিশনের দায়িত্ব আমাদের বাঁচাতে দাম বৃদ্ধি করা।
শুনানিতে ইআরসির চেয়ারম্যান আব্দুল জলিলের সভাপতিত্বে কমিশনের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। গণশুনানি শেষে আগামী ৬০ কার্য দিবসের মধ্যে বিইআরসি এলপি গ্যাসের মূল্য নির্ধারণের আদেশ দেওয়ার নিয়ম রয়েছে।