২৪ ঘণ্টা ফেসবুকসহ সোশ্যাল মিডিয়া নজরদারির নির্দেশ ইসির
নির্বাচন কমিশন (ইসি) এখন থেকে ২৪ ঘন্টা সকল সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমকে নজরদারিতে রাখার নির্দেশ দিয়েছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ও সংস্থাকে। আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে গুজব, অপপ্রচার ও ষড়যন্ত্র ঠেকাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমকে এই নজরদারিতে নিয়ে আসা হচ্ছে বলে ইসি সচিব জানান।
সোমবার বিকেলে নির্বাচন ভবনের সম্মেলন কক্ষে সকল মোবাইল অপারেটর, নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসি ও এনটিএমসির সঙ্গে বৈঠক শেষে ইসি সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন রেগুলেটরি কমিশন (বিটিআরসি), ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টার (এনটিএমসি), টেলিটক বাংলাদেশ, গ্রামীণ ফোন, বাংলালিংক, রবি ও এয়ারটেলের শীর্ষ কর্মকর্তাদের নিয়ে ইসি এ বৈঠক করেন।
ইসি সচিব বলেন, ভোট নিয়ে প্রপাগান্ডা, গুজব, নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ বা বানচাল করার উদ্দেশ্যে ফেসবুকসহ সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করলে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানকে ২৪ ঘণ্টা মনিটরিংয়ের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম নজরদারিতে থাকবে। ফেইক আইডি থেকে প্রপাগান্ডা করলে তাদের চিহ্নিত করে অপপ্রচারকারীদের বিরুদ্ধে বিদ্যমান আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।
সচিব বলেন, সোশ্যাল মিডিয়া কোনোভাবেই বন্ধ করা যাবে না বলে সভায় মত দিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসি। তবে যারা গুজব ছড়াবে, সহিংসতা ও অপপ্রচার ছড়াবে তাদের বিষয়ে এনটিএমসি, বিটিআরসি ও আইন শৃঙ্খলাবাহিনীর সাইবার ক্রাইম ইউনিট মনিটরিং করবে। ইসিকে জানিয়েই দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও তিনি জানান।
সভায় ভোট সামনে রেখে নির্বাচন ভবনসহ সর্বত্র মোবাইল যোগাযোগ নিরবিচ্ছিন্ন রাখার পাশাপাশি ইন্টারনেটের পূর্ণমাত্রার গতি বজায় রাখার নির্দেশনা দেওয়া হয়।
আইন অনুযায়ী তার আগে ভোটের প্রচারের সুযোগ না থাকলেও সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম, বিশেষ করে ফেসবুক নানাভাবে নির্বাচনী প্রচারে লাগানো হচ্ছে এমন প্রশ্নের জবাবে ইসি সচিব বলেন, ফেসবুকে প্রচারণার ওপর বিধিনিষেধ আরোপ আচরণবিধির আওতায় নেই। প্রচারণা চালাতে পারবেন প্রার্থীরা। তবে তা প্রার্থিতা চূড়ান্ত হবার পর। এর আগে প্রচারণা চালালে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।