৩০ ডিসেম্বর ভোট বিপ্লব হবে: ড. কামাল

641

ভোটের প্রচারের শেষ দিন সংবাদ সম্মেলনে এসে মানুষকে আগামী ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনে ধানের শীষের পক্ষে ‘ভোট বিপ্লব’ ঘটানোর আহ্বান জানিয়েছেন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা ও গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেন।

ভোটারদের উদ্দেশে তিনি বলেছেন, ‘ধানের শীষ দলের নয়, ঐক্যবদ্ধ জনগণের প্রতীক। এ প্রতীকে ভোট দিয়ে দেশকে মুক্ত করুন’।

ড. কামাল হোসেন আরও বলেন, দেশের মানুষ পরিবর্তন চায়। পরিবর্তনের পক্ষে সারাদেশে গণজাগরণ সৃষ্টি হয়েছে। এই জাগরণ দু:শাসন থেকে মুক্তির। আশাকরি ৩০ ডিসেম্বর ভোট বিপ্লবের মাধ্যমে দেশ দলীয়করণমুক্ত হবে এবং দেশের মালিক হবে জনগণ।

বৃস্পতিবার ঢাকার পুরানা পল্টনের জামান টাওয়ারে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের পক্ষ থেকে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। এর আগে ড. কামাল হোসেনের সভাপতিত্বে নির্বাচনের সর্বশেষ পরিবেশ এবং এ অবস্থায় করণীয় ঠিক করতে বৈঠক করেন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের স্টিয়ারিং কমিটির সদস্যরা।

বৈঠকে সব প্রতিকূলতা উপেক্ষা করে যেকোনও মূল্যে ভোটের দিন পাশে থাকার সিদ্ধান্ত নেন তারা। বৈঠকের পর সংবাদ সম্মেলনে এসে ভোটের লড়াই চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়ে ড. কামাল হোসেন দেশের মানুষকে ৩০ ডিসেম্বর ভোট কেন্দ্রে গিয়ে ‘ভোট বিপ্লবে’ অংশ নেয়ার আহ্বান জানান।

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, গণফোরামের নির্বাহী সভাপতি অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী, প্রেসিডিয়াম সদস্য অ্যাডভোকেট জগলুল হায়দার আফ্রিক, কেন্দ্রীয় নেতা মোসতাক হোসেন, সাইদুর রহমান সাইদ, রফিকুল ইসলাম পথিক, নাগরিক ঐক্যের কেন্দ্রীয় নেতা শহীদুল্লাহ কায়সার, মমিনুল ইসলাম, ডা. জাহেদ উর রহমান, বিকল্প ধারার একাংশের নেতা অধ্যাপক নুরুল আমিন ব্যাপারী প্রমূখ এসময় উপস্থিত ছিলেন।

ড. কামাল হোসেন বলেন, ‘১৬ ডিসেম্বর আমরা বিজয় অর্জন করেছি। সেইভাবে আগামী ৩০ ডিসেম্বর আরেকটি বিজয় অর্জন করবো। এ বিজয় জনগণের।’

তিনি আরও বলেন, ‘স্বাধীন দেশের প্রশাসন, কোনও দলের লোক হতে পারে না। প্রশাসনকে বলবো, জনগণের স্বার্থে কাজ করুন, কোনও দলের স্বার্থে নয়। আমরা সারাজীবন স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে ফাইট করেছি। ৭১ সালে স্বৈচারের বিরুদ্ধে ফাইট করেছি। তারা বিজয়ী হতে পারেনি, আমরাই বিজয়ী হয়েছি। ১৬ ডিসেম্বরের পর আবার ৩০ ডিসেম্বর বিজয়ী হবো।’

সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, সরকারের ইতোমধ্যে নৈতিক পরাজয় হয়েছে। আওয়ামী লীগকে প্রশাসনের সহযোগিতা নিতে হচ্ছে। পাপের কাছে নতি শিকার না করে ৩০ ডিসেম্বর জনগণকে তাদের মুক্তির জন্য, নিজেদের মালিকানা প্রতিষ্ঠা জন্য এবং গণতন্ত্রের মুক্তির জন্য ধানের শীষে ভোট দেয়ার আহ্বান জানান তিনি।

এসময় গণমাধ্যমকে কারও কাছে নতি শিকার না করে নিরপেক্ষ ভূমিকা পালনেরও আহ্বান জানান মির্জা ফখরুল।

কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি কাদের সিদ্দিকী বলেন, প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদা যেসব কার্যকলাপ বা ভূমিকা পালন করছেন, তার জন্য সিইসির তালিকায় নয়, মীর জাফরের তালিকায় তার নাম থাকবে।

Leave A Reply

Your email address will not be published.

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.