৭ দিনের মধ্যে জম্মু-কাশ্মীর থেকে ‘বাংলাদেশি’ তাড়ানোর হুমকি
ভারতের উগ্রপন্থী হিন্দু সংগঠন রাষ্ট্রীয় বজরং দল এক সপ্তাহের মধ্যে জম্মু-কাশ্মীর থেকে অবৈধ রোহিঙ্গা ও বাংলাদেশি অভিবাসীদের বিতাড়নের হুমকি দিয়েছে।
প্রদেশের গভর্নর সত্য পাল মালিকের কাছে তারা এমন দাবি করেছেন বলে বার্তা সংস্থা পিটিআইয়ের উদ্ধৃতি দিয়ে বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড খবর দিয়েছে।
খবরে বলা হয়, বজরং দলের কর্মীরা রোববার ত্রিশূল, প্ল্যাকার্ড, ও ভারতের পতাকা নিয়ে নারোয়াল বাইপাসের কাছে একটি শপিং মলের সামনে সমবেত হন। এর ঠিক পাশেই রয়েছে একটি রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবির।
সভায় আগত বিক্ষোভকারীরা অবৈধ অভিবাসীদের তাড়ানোর দাবিতে স্লোগান দিয়ে ওই স্থান ত্যাগ করেন।
জম্মু-কাশ্মীর রাজ্যে বজরং দলের প্রেসিডেন্ট রাকেশ বজরং বলেন, ‘এটা গভর্নরের নেতৃত্বাধীন প্রশাসনের জন্য একটা সতর্কবার্তা।’
ওই রাজ্যে কথিত বাংলাদেশি ও রোহিঙ্গাদের উপস্থিতি ভারতের জাতীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকি বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
উগ্রপন্থী সংগঠনটি রোহিঙ্গা ও বাংলাদেশিদের দেশে ফেরত পাঠানোর জন্য এক সপ্তাহ সময় বেঁধে দিয়েছে। যদি সরকার এই সময়ের মধ্যে তাদের দাবি মেনে না নেয় তাহলে, স্থানীয়দের সঙ্গে নিয়ে আরও ব্যাপক আন্দোলন করা হবে বলে হুমকি দেন রাকেশ।
বজরংদের দাবি, অবৈধ অভিবাসীরা মাদক পাচারসহ বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত এবং তারা ওই অঞ্চলের সংস্কৃতির জন্য হুমকি হয়ে দেখা দিয়েছে।
কিন্তু, মাত্র কয়েক দিন আগে একই রকম ভাবাদর্শের সংগঠন আসাম বিজেপি সংবাদ সম্মেলনে বলেছিল, গত দশ বছরে কোনো বাংলাদেশি অনুপ্রবেশ ঘটেনি ভারতে।
এর কয়েক দিনের মাথায় রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ (আরএসএস) পরিবারের সদস্য সংগঠন আরবিডি বাংলাদেশিদের বিতাড়নের দাবি জানালো।
ক্ষমতাসীন দল বিজেপি লোকসভা ও বিধানসভা নির্বাচনের আগে কথিত ‘বাংলাদেশি অনুপ্রবেশ’কে প্রচারণার হাতিয়ার করেছিল।
২০১৬ সালের ১৭ নভেম্বর সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়া দেশটির কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কিরেন রিজুর বরাত দিয়ে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলেছিল, ভারতে প্রায় ২ কোটি বাংলাদেশি অবৈধভাবে বসবাস করছে। কিন্তু, ১০ জানুয়ারি আসাম বিজেপির পক্ষ থেকে বলা হয়, বিগত ১০ বছরে কোনো বাংলাদেশি অবৈধ পন্থায় ভারতে প্রবেশ করেনি।