৯ বছর বয়সে মাত্র ৬৫ দিনেই কোরআনে ‘হাফেজ’!
পবিত্র কোরআনে বারবার মানুষকে পড়াশোনা করতে, জ্ঞানার্জনে ব্রতী হয়ে আল্লাহর সৃষ্টিকে গভীরভাবে অনুধাবন করতে বলা হয়েছে। কিন্তু কোথাও জ্ঞান শিক্ষার যোগ্যতা এককভাবে পুরুষদের দেওয়া হয়নি। আর সে জন্য বিশ্বনবী (সা.) দ্বিধাহীনকন্ঠে ঘোষণা করেছেন, ‘প্রত্যেক মুসলিম নর-নারীর জন্য জ্ঞানার্জন করা ফরজ (অবশ্য কর্তব্য)।’
নাম আহমেদ তাইমিয়া। বয়স ৯ বছর হলেও মাত্র ২ মাস ৫ দিনে ৩০ পারা কোরআন মুখস্থ শেষে ‘হাফেজ’ খেতাব অর্জন করে চমক দেখালেন কোটচাঁদপুরের বিস্ময়কর বালক আহমেদ তাইমিয়া।
যেখানে সম্পূর্ণ কোরআন মুখস্থ করতে সময় লাগে ২ থেকে ৩ বছর, সেখানে মাত্র ৬৫ দিনে এই খেতাব অর্জন করেছে ঝিনাইদহ জেলার কোটচাঁদপুর উপজেলার বালিয়াডাঙ্গা গ্রামের আসলাম হোসাইনের ছেলে আহমেদ তাইমিয়া।
কোটচাঁদপুর শহরের ইসলামীয়া ক্বওমিয়া ক্বিরাতুল কোরআন মাদ্রাসার শিক্ষার্থী আহমেদ তাইমিয়া হাফেজ শামীম হোসাইনের ছাত্র।
মাদ্রাসার মুহ্তামিম মুফতি ইবরাহিম খলিল বলেন, আহমেদ গত দু’বছর আগে তাইমিয়া এখানে হয়ে নার্সারী থেকে লেখাপড়া করছে। দ্বিতীয় শ্রেণীতে উঠে রমজানের পর কোরআন শরিফের ‘নাজেরা’ পড়া শুরু করে।
এরপর কোরআন হাফেজ সবক (মুখস্থ পড়া) দিয়েছে মাত্র ৫০ দিনের মতো। গেল ১৭ জানুয়ারি মাত্র ৬৫ দিনে তার ৩০ পারা কোরআন শরিফ হেফেজ সম্পন্ন হয়েছে।
তিনি জানান, এ পর্যন্ত ৮০ দিনে কোরআন মুখস্থ করার রেকর্ড থাকলেও মাত্র ৬৫ দিনে হাফেজ হওয়ার ঘটনা এই প্রথম। আহমেদ তাইমিয়া যদি নিয়মিত শুধু মুখস্থ করতো, তাহলে ৩০ দিনে ‘হাফেজ’ খেতাব অর্জন করতো। কারণ এমন দিনও আছে সে এক পারা কোরআন মুখস্থ করেছে। এখন সে যথারীতি সবক শোনাচ্ছে।
শিক্ষকরা বলেন, আহমেদ তাইমিয়াকে আমাদের বিস্ময়কর বলে মনে হয়েছে। তার বাবা আসলাম হোসাইন এবং আমাদের প্রত্যাশা সে একদিন দেশের বড় আলেম হয়ে ইসলাম ও দেশের জন্য কাজ করবে। শারীরিক ভাবে দূর্বল আহমেদ তাইমিয়ার জন্য আমরা সবার কাছে দোয়া চায়।